- করোনার থাবা থেকে বাঁচতে একাধিক বিধিনিষেধ জারী করল রাজ্যসরকার। সোমবার থেকেই আবার বন্ধ হতে চলেছে স্কুল কলেজ। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে আবার কড়া নিরাপত্তার বিধিনিষেধে বাঁধা পড়তে চলছে রাজ্যবাসী। স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর রেখে আবার বাধানিষেধের গন্ডিতে আটকা পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অর্থনীতির উপরে কুঠারাঘাতের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে, জোর দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকে। জীবনকে জীবিকার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা মুখ্যসচিবের বক্তব্যে প্রাঞ্জল।
ওমিক্রন রুখতে কী কী বিধিনিষেধ জারি হল রাজ্যে, দেখে নিন একঝলকে –
ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে বিমান অবতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ। মুম্বই, দিল্লি থেকে কলকাতায় বিমান নামবে সপ্তাহে ২ দিন। সোমবার ও শুক্রবার।
১০ শতাংশ আরটি-পিসিআর (RT-PCR) বাধ্যতামূলক।
১০০ শতাংশ বিদেশফেরতের Rapid Antigen টেস্ট করাতে হবে।
‘দুয়ারে সরকার’ একমাস পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হবে।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ৫০ শতাংশ কর্মীরা আসতে পারেন
সরকারি ও বেসরকারি অফিসে (কর্পোরেশন-সহ)। ৫০ শতাংশ হাজিরা।
সোমবার থেকে বন্ধ সুইমিং পুল, পার্লার, জিম, স্পা, পার্ক, চিড়িয়াখানা
শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে ৫০ শতাংশ ক্রেতার প্রবেশের অনুমতি।
রেস্তরাঁ, বারে ৫০ শতাংশের প্রবেশ।
সিনেমা হল, থিয়েটারে ৫০ শতাংশ দর্শকের প্রবেশ।
বাড়ল রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের সময়সীমা। রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি।
লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত চলবে। তবে সন্ধে ৭টার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ, মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
গণপরিবহণে স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক।
বাজার স্যানিটাইজ করতে হবে।
কলকাতায় ১১টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত। কনফারেন্সে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি।
সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি।
মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। পাশাপাশি করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পৃথকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়দিন ও ইংরাজি নববর্ষে কোভিডবিধিতে খানিকটা ছাড় থাকায় পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক হয়েছে। এই অবস্থায় ওমিক্রনের দাপট রুখতে আপাতত দু’সপ্তাহের কড়া কোভিডবিধি জারি করল রাজ্য সরকার। সবমিলিয়ে রাজ্যসরকারের নির্দেশনামায় আবার চারদেওয়ালে বন্দী হতে পারেন রাজ্যবাসী, ইঙ্গিত তেমনটাই।।
More Stories
প্রয়াত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস
ফুলচাষে ফুলেফেঁপে উঠছেন পূর্বস্থলীর পুষ্প-ব্যবসায়ীরা
কেবল জিনিয়াসরা পারবে নীচের দেওয়া ছবি দুটির মধ্যে থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ৩ টি পার্থক্য খুঁজে বের করতে