সময় কলকাতা ডেস্ক : জাতীয় পুরস্কার জয়ী বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সুন্দরবনের মুসা । উওর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের চকপাটলি বেনা গ্রামে জন্ম মুসার । শিক্ষক পরিবারে জন্ম তাই শিক্ষার আলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছিল মুসাকে । জন্ম থেকেই তাঁর কথায় একটু জড়তা ছিল, কানেও ঠিকমত শুনতে পান না । এক কথায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ছিল মুসা । মাধ্যমিক পাস করার পর কোন রকম ভাবে তার জমানো অর্থ দিয়ে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি টেলারিং মেশিন কিনেছিলেন । সেখান থেকেই তার জীবন সংগ্রামের পথ চলা শুরু । এখন তার অধীনে প্রায় ৫০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক কাজ করেন । ২০০৯ সালে রাজ্য সরকারের ন্যায় অধিকার প্রকল্পের বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে জাতীয় মুক ও বধির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুসা ।
গত বছরে ৩ রা ডিসেম্বর সারা ভারতবর্ষের মোট ১০০০ জন ফ্যাশন ডিজাইনারকে জাতীয় ন্যায় অধিকার প্রকল্পের আওতায় আনা হয় । তার মধ্যে বেছে নেওয়া হয় ৪৮ জনকে। এর মধ্যে বাংলার একমাত্র মুসা গাজীর নাম সেই তালিকায় প্রকাশ পায়, ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে । তারপর জাতীয় পুরস্কার পেয়ে বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সম্মানে ভূষিত হন তিনি । তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ।
সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের কাছে এক নতুন আলোর দিশা দেখালো এই পুরষ্কার । কারণ য়ারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন তারা যেন জীবন যুদ্ধে পিছিয়ে না পরে । রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত মুসা জানান, আগামী দিনে তিনি পাঁচ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবকদের কর্মসংস্থান করবেন । পাশাপাশি বাংলার সম্মান তথা ভারত বর্ষ বিদেশের মাটিতে যাতে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে তার জন্য সব রকম চেষ্টা করতে হবে । এই জাতীয় পুরষ্কার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের এক নতুন আলোর পথের দিশারী হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা ।
More Stories
হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চায়েতে ফিরেও ঘর ছাড়া আরাবুল
জাঁকিয়ে শীত আসবে, গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম
Mamata Banerjee: “ভাববেন না আমরা বসে ললিপপ খাব…” বাংলা দখল নিয়ে রুজভিকে হুঁশিয়ারি মমতার