Home » উদীয়মান ফুটবল প্রতিভার খোঁজে বসিরহাট ভেটারেন্সের সদস্যরা

উদীয়মান ফুটবল প্রতিভার খোঁজে বসিরহাট ভেটারেন্সের সদস্যরা

 

সময় কলকাতা ডেস্ক : বাংলা-বাঙালি-ফুটবল যেন এক সুতোয় বাঁধা। হয়ত সেকারনেই বলা হয়, “সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল…”। একটা সময় ছিল, যখন বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলে দুরন্ত সব ফুটবলার সাপ্লাই লাইন হিসেবে পরিচিত ছিল বসিরহাট। কিন্তু আজ সেসব মলিন। ফের অতীতের সোনালী দিনের সেই হৃতগৌরব উদ্ধারের প্রয়াসে ব্রতী হল বসিরহাট ভেটারেন্স প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। লক্ষ্য, উদীয়মান প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনা।

সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে সবকিছুরই। বর্তমান তরুন সমাজ সবুজে ঘেরা মাঠের প্রতি আসক্ত নয়, পরন্তু ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটারের রঙিন দুনিয়া তাদের বেশি পছন্দ। ফলত, মাঠে নয়, তাদের মন কেড়েছে ভার্চুয়াল জগতের অত্যাধুনিক গেমস। তবে এসবের ঊর্ধ্বে গিয়ে বসিরহাট ভেটারেন্স প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা দিন-রাত এক করে উঠতি প্রতিভা খোঁজার প্রয়াসে বসিরহাট লাগোয়া একের পর এক গ্রাম ঘুরে চলেছেন।

উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট হাইস্কুল মাঠ থেকে কলকাতার প্রথম সারির ক্লাব তথা জাতীয় দলে নিজেদের ক্রীড়া দক্ষতায় জায়গা পাকা করেছেন একাধিক ফুটবলার। কিন্তু ইদানিং সেই সংখ্যাটা অনেক কমেছে। তবে এখনো সেখানে সকাল থেকে শুরু করে বিকালের পড়ন্ত রোদ্দুর গায়ে মেখে একদল কচিকাঁচা মেতে থাকে ফুটবলে। তাদের দু:চোখ ভরা স্বপ্ন, বড়ো হয়ে কলকাতার নামী ক্লাব বা ভারতের জাতীয় দলে খেলে দেশ তথা জন্মভূমির নাম উজ্জ্বল করা। বস্তুত, তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে এসেছে বসিরহাট ভেটারেন্স প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার তত্বাবধানে চলছে বিনামূল্যে একটি ফুটবল কোচিং ক‍্যাম্প। জানা গেছে, সেই ক‍্যাম্পে আসেন ভারতের প্রাক্তন স্বনামধন্য ফুটবল তারকা ও বসিরহাটের ভূমিপুত্র মিহির বসু, রবিন ঘোষরা।

ফুটবলার যোগেশ মন্ডল বলেন, “বসিরহাটে ফুটবলের সঠিক পরিকাঠামো তৈরির দরকার। বিএসএসএকে আরও দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন কোচিং ক‍্যাম্পগুলিকে সবরকম সাহায্য প্রদান করতে হবে। প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনার জন‍্য বহু ফুটবল প্রতিযোগীতার আয়োজন করতে হবে। পাশাপাশি প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ অনুষ্টুপ সরকার বলেন, “খেলার সুবাদে অন‍্যান‍্য রাজ‍্যে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার স্থানীয় ফুটবলাররা ভারতের বিভিন্ন জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বাংলায় তিন প্রধান ক্লাবে বাঙালি ফুটবলারের থেকে অবাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা বেশি । তাই প্লেয়ারদের মা-বাবা সহ কোচিং ক‍্যাম্পগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে নতুন প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে।” দেশ তথা বাংলার ফুটবলে গ্রাম্য প্রতিভা খুঁজে আনার এই মহৎ কাজ করার জন্য বসিরহাট ভেটারেন্সের সদস্যদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে ফুটবল প্রেমী আপামর বসিরহাটবাসী।

 

About Post Author