Home » আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে তৃণমূল শাসনে কতটা নিরাপদ উত্তর চব্বিশ পরগনার মানুষ?

আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে তৃণমূল শাসনে কতটা নিরাপদ উত্তর চব্বিশ পরগনার মানুষ?

সময় কলকাতা ডেস্ক : আইন শৃঙ্খলার নিরিখে তৃণমূল শাসনে কেমন আছে উত্তর চব্বিশ পরগনা?এই পর্যালোচনার গভীরে ঢোকার আগে উল্লেখ্য উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার আয়তন, জনসংখ্যা ও ভৌগলিক অবস্থান।জন্যসংখ্যার নিরিখে রাজ্যে প্রথম ও ভারতে দ্বিতীয় জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা আয়তনেও বিশাল ।৪০৯৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা জেলায় এক কোটির বেশী মানুষের বাস (২০১১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী )।ভৌগলিক দিক থেকে শহর, গ্রাম, নদী, সুন্দরবনে ঢাকা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় রয়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ।অপরাধ সময়ের সাথে সাথে তার চরিত্র বদলেছে।বাম জমানার অবসানে তৃণমূল আমলে বৃহৎ জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা আইন শৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নিতে হয়েছে নিত্য নতুন পদক্ষেপ ।

বাম আমলে বুল্টন দাস বা বারিক বিশ্বাসদের হাত ধরে পাচারের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা । ছিল আলোড়নসৃষ্টি কারী সুটিয়া গণধর্ষণ। সিন্ডিকেট রাজের বাড়বাড়ন্ত দেখেছিল নিউটাউন সহ গোটা জেলা।শিল্পাঞ্চল ব্যারাকপুরে কলকারখানার অচলাবস্থার মধ্যে বাইরের রাজ্য থেকে মানুষদের আর্থিক ভাবে রুগ্ন করে তুলেছিল ।বাম আমলে শিল্পাঞ্চলের রুগ্ন দশা সূচিত হয় যার ফলে অপরাধ প্রবণতা । পাশাপাশি দুটি সীমান্ত এলাকা যুক্ত উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা গরুপাচার সহ বিভিন্ন পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠতে থাকা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার আইন শৃঙ্খলা কে সুবিন্যস্ত করতে সচেষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসতেই মুখ্যমন্ত্রী  বিধাননগর পরে ব্যারাকপুর কমিশনারেট গড়ে তোলার নির্দেশ দেন।আইনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বড় থানাগুলোকে টুকরো টুকরো করার সিদ্ধান্ত একের পর এক কার্যকর হতে থাকে।অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে পুলিশকে আরো বেশিভাবে সক্রিয় করার বার্তা দেওয়া হয় সুস্পষ্ট ভাবে ।

তৃণমূল আমলে উত্তর চব্বিশ পরগণার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে গৃহীত পদক্ষেপের সুফল দেখছে জেলাবাসী। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দ্ৰুত বিচার নিস্পত্তি, জেলার পুলিশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং সীমান্তবর্তী ক্ষেত্রে আইনকে নিজেদের সীমার মধ্যে জোরদার করা – সবক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ভাবনার রূপায়নের মেলা ইঙ্গিতের হয়েছে রূপায়ণ । কিছু সীমাবদ্ধতা এবং বিরোধীদের প্রশ্নকে কার্যত ভোঁতা করে প্রগতি ও উন্নতির প্রশ্নে নতুন দিশা দেখাচ্ছে উত্তর চব্বিশ পরগনা ।

সময় পাল্টানোর সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিবর্তনের চিত্র পাল্টানোর প্রথম ইঙ্গিতবাহী ঘটনা বাম আমলে রাজীব দাসের হত্যাকান্ড ও তৃণমূল আমলে দুষ্কৃতীদের সাজা । তৃণমূল তখন ক্ষমতায় আসে নি। বাম জমানার শেষ দিকের কথা । বামেদের শেষের শুরু ইঙ্গিত তখন মিলতে শুরু করেছে । স্থান উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সদর বারাসাত। ২০১১ সালের ভ্যালেনটাইন্স ডে অর্থাৎ চোদ্দোই ফেব্রুয়ারীর রাত বারোটা বাজার প্রাক মুহূর্তে দিদির শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদ করতে হয় ষোলো বছরের রাজীব দাস ।ট্রেন থেকে বাড়ির পথে ফেরা দিদি রিঙ্কু দাসের সম্ভ্রম রক্ষায় প্রতিবাদী হয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব খুন হয়ে যায় বারাসাত কাছারি মাঠের কাছে । উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা তথা রাজ্য রাজনীতি । এই খুনে তিন অভিযুক্ত ছিল মিঠুন দাস, মনোজিৎ বিশ্বাস ও বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় । তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে চার্জশিট গঠনের পরে শুরু হয় শুনানি ।পুলিশের চার্জসিট ও প্রত্যক্ষদর্শী রিঙ্কু দাসের বয়ান থেকে জানা যায়, মিঠুন দাসই সমূলে ছুরি বিদ্ধ করে রাজীব দাসের পেটে ।২০১৫ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারী মিঠুন সহ তিন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে বারাসাত আদালত। পরের দিন যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় বারাসাত । এই ঘটনা এজন্যই উল্লেখযোগ্য কারণ এরপরে আর শহর বারাসাত দেখে নি খুন খারাপি । তৃণমূল শাসনে এগারো বছরে বড় মাপের খুন বা গণ ধর্ষণ বা বড় মাপের অপরাধ দেখে নি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সদর বারাসাত ।এর পরেও কি জেলায় কোথাও কখনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে নি? বিগত এগারো বছরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় হয়েছে একাধিক শিহরণজাগানো ঘটনা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাড়া ফেলে কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ড । রয়েছে বামনগাছির প্রতিবাদী ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর নৃশংস খুন । প্রশাসনিক স্তরে প্রতিটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি সহ মিলেছে বিচার।এমনকি বিহার থেকে আগত কিশোরী মধ্যমগ্রামে গণধর্ষিতা হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে নি এবং সাজা মিলেছে প্রত্যেক অভিযুক্তর । কামদুনির ঘটনার পরে আট অভিযুক্তের সাতজনই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে ধরা পড়ে এবং অপরজন ও ধরা পড়ে অচিরেই । এদের মধ্যে বিচারে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক সাজা ঘোষণা করে আদালত । ফলে সামগ্রিক বিচারে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে জেলার মানুষ বড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করান নি প্রশাসনকে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় রুটিন করে প্রশাসনিক বৈঠক সেরেছেন বিগত দশ বছর ধরে । তৃণমূল জমানাতেই গড়ে উঠেছিল বিধাননগর ও ব্যারাকপুর কমিশানারেট । করোনা আবহে ঢাকা কুড়ি সালের আগে উনিশ সালে তিনি যে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন সেখানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয় । কিন্ত তারও আগে থেকে পুলিশ প্রশাসন যেন আইন শৃঙ্খলাকে সুচারু হাতে নিয়ন্ত্রণ করে তার ইশারা মিলছিল। বারাসত এবং বসিরহাটকে পৃথক ‘পুলিশ জেলা’ করা হবে বলে দুহাজার আঠেরো সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বারাসতে প্রশাসনিক সভায় এসে ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তারও আগে কামদুনি কাণ্ডের পরে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে বারাসত থানাকে ভেঙে আরও তিনটি থানা করা হয়। বারাসত ছাড়াও তৈরি হয় শাসন, মধ্যমগ্রাম এবং দত্তপুকুর থানা। উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে বারাসতকে ‘পুলিশ জেলা’ হিসাবেই ঘোষণা করেন মমতা। তাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করেছিলেন জেলাবাসী ।সেদিন ‘তরুণ পুলিশ সুপার’দের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সে আশার কথা নিজেও জানিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের লক্ষে এগিয়েছে ।

বসিরহাটকে ‘পুলিশ জেলা’ হিসাবে ঘোষণা করা হবে এমন প্রত্যাশাও তৈরি হয়েই ছিল মানুষের মনে যার বাস্তবায়ন হয়েছে । নদী-জঙ্গলে ঘেরা বহু এলাকা আছে এই মহকুমায়। স্থলপথ এবং জলপথে মাইলের পর মাইল এলাকা বাংলাদেশ সীমান্ত-লাগোয়া। সে সব জায়গা দিয়ে পাচারের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। ঘোজাডাঙায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দর আছে। সেখানেও আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ‘পুলিশ জেলা’ হলে এই সব এলাকায় অপরাধ দমনে সুবিধা হবে বলে মনে করেছিলেন পুলিশ কর্তারা। চার বছর আগে বাদুড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর গোলমালের আঁচ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল, ‘পুলিশ জেলা’ তৈরি করে পরিকাঠামো ঢেলে সাজার প্রয়োজনীয়তার দাবি তাতে জোরদার হয়।অতঃপর বনগাঁকেও পুলিশ জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।পঁয়তিরিশ টি থানা সম্পন্ন জেলায় যেখানে অতি সম্প্রতি বনগাঁ পুলিশ জেলার পেট্রাপোল, ব্যারাকপুর কমিশানারেটের ভাটপাড়া, বারাসাত পুলিশ জেলার গোবরডাঙ্গা, বসিরহাট পুলিশ জেলার মাটিয়া সহ একাধিক থানা আলাদা করে থানার স্বীকৃতি লাভ করেছে। পাঁচটি বিভাগ এভাবেই আলাদা ভাবে আইন শৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে । বারাসাত, বনগাঁ, বসিরহাট এই তিনটি পুলিশ জেলা এবং দুটি কমিশনারেট – বিধাননগর ও ব্যারাকপুর নিয়ে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর জেলা প্রশাসন ।

তথাপি বিরাটায়তন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কি রাজনৈতিক ভাবে সংঘর্ষ মুখর বা উত্তাল হয়ে ওঠে না? এর উত্তর হল বাম আমলে শাসন খড়িবাড়ি বাম নেতা মজিদ মাস্টারের অঙ্গুলি হেলনে হয়ে উঠেছিল আতঙ্কের উপত্যকা যা আজ শান্ত । জেলায় পাঁচটি লোকসভা আসনের অন্যতম ব্যারাকপুর এলাকায় উত্তেজনার পারদ বেড়েছে বিগত লোকসভা নির্বাচনেও। এসময় উল্লেখযোগ্য ছিল বেশ কিছু প্রশাসনিক পদক্ষেপ।ব্যারাকপুর কমিশানারেটের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনা প্রবণ ভাটপাড়া -জগদ্দল অঞ্চলে আলাদা আলাদা দুটি থানা করা এবং শান্তি কায়েম রাখতে তথা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে রাজ্য সরকারী একাধিক পর্যালোচনা ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল । বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তুললেও এবং বারুদের স্তুপে মাঝে মধ্যে আগুন লাগলেও দ্ৰুত তা প্রশমিত হয়ে যায়।

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় দুটি সীমান্ত অঞ্চল -বনগাঁ সংলগ্ন পেট্রাপোল , বসিরহাট সংলগ্ন ঘোজাডাঙ্গা বিভিন্ন সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তোলা হলেও কেন্দ্র রাজ্যর এক্তিয়ার স্বতন্ত্র হওয়াসত্বেও প্রশাসন যেমন বনগাঁর ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন পেট্রাপোল থানা করে অপরাধ কমাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছে তেমনই ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত থেকে অদূরে রাজ্য পুলিশের কড়া নজরদারি জারী । ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত থেকে কিলোমিটার দশেক ব্যাসার্ধ জুড়ে অঞ্চলে যথা শহর বসিরহাট বা লাগোয়া অঞ্চলে আজ আইন শৃঙ্খলার অবনতির কোনো চিহ্ন নেই । তথাপি বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেই চলেছেন আর তৃণমূল নেতারা তৃণমূল আমলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আমূল উন্নতির কথা বলতে গিয়ে তত্ব ছেড়ে বাস্তব কে তুলে ধরছেন।ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় অপরাধের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে উত্তর চব্বিশ পরগণা তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,”২০১১ সালে বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে উত্তর চব্বিশ পরগনায় আইনের শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষে বিচার চেয়ে বিচার পেয়েছেন,দোষীরা শাস্তি পেয়েছে ।কামদুনি থেকে সুঁটিয়া, সুঁটিয়া থেকে বামনগাছি ও শাসন সহ জলকর এলাকায় আইনের শাসন জারী হয়েছে। এগারো বছর আগে বাম জমানায় যে অত্যাচার সাধারণ মানুষের ওপরে সংঘটিত হত তৃণমূলের শাসনকালে তার অবসান হয়েছে।কোনো মানুষ অপরাধ করলে সাজাপ্রাপ্ত হয় নি এমন দৃষ্টান্ত নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নজরদারিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপে বিচার ব্যবস্থা প্রশাসনের ওপরে আস্থাশীল হয়েছে মানুষ। মানুষ আজ সুবিচার পান – এটাই পরিবর্তনের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল আসার সুফল।'”

রাজনৈতিক চাপান উতোর যাই থাকুক এবং গণতন্ত্রে বিরোধীদের বিরোধিতা থাকার স্বাভাবিক নিয়ম মেনে চলা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিরোধী নেতারা আজ আঙ্গুল তুলে দেখাতে পারেন না কোন ক্ষেত্রে আইনের বিচার মেলে নি। কামদুনির গণধর্ষণও খুন বা ভাটপাড়ার রাজনৈতিক খুন খারাপিকে পেছনে ফেলে আপাত শান্ত উত্তর চব্বিশ পরগনা রাজ্যের বাকি জেলার মতই থিতু । বাম শাসনের তুলনায় বিভিন্ন আইনি প্রশ্নের ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সূচক তুল্যমূল্য ভাবে যে ভালো হয় নি একথা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব। একের পর এক বেআইনি ঘটনাকে আইন শৃঙ্খলার কড়া শাসনে বেঁধে ফেলার প্রচেষ্টায় উত্তেজনার পারদ শনৈ শনৈ নামছে শুধুই নামছে, আশায় বুক বাঁধছেন জেলাবাসী।।

About Post Author