Home » শোকাতুর পরিবারের পাশে আর ফেরা হল না শোকস্তব্ধ বাবার

শোকাতুর পরিবারের পাশে আর ফেরা হল না শোকস্তব্ধ বাবার

সময় কলকাতা ডেস্ক:মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে স্ত্রীকে  শেষ ফোন করেছিল রঞ্জিত বর্মন।বলেছিল ‘আমি যত তাড়াতাড়ি পারি বাড়ি ফিরে আসছি।’ নিজে শক্ত থেকে স্বান্তনা বাক্য শুনিয়ে ছিল পরিবারের সকলকে।কিন্তু রঞ্জিতবাবু ঘরে ফিরলেন কফিন বন্দি হয়ে। শোকাতুর পরিবারের পাশে আর দাঁড়ানো হল না।শোকস্তব্ধ বাবা নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।অন্য সবাইকে অকুল পাথারে ভাসিয়ে। আর কোনোদিনও এসে স্বান্তনা দিয়ে বড় মেয়েকে বলবে না,’কাঁদিস না মা, এইতো দেখ আমি আছি তোর মা আছে।তুই কাঁদলে তোর মাও তো ভেঙে পড়বে।’এসব কথা বলার মত কেউ আর রইল না। রঞ্জিতবাবু নিজেই শোকের কারণ হয়ে গেলেন পরিবারের কাছে।                                                                                          

গত মঙ্গলবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রঞ্জিতবাবু আড়াই বছরের মেয়ের। সেই খবর শুনে জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের গুমানিহাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত বর্মন(৪২)। কিন্তু বৃহস্পতিবার অভিশপ্ত গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় রঞ্জিত বর্মনের। শুক্রবার রাতে তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। জানা যায়, রঞ্জিত বর্মনের এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে । কিন্তু ছোট মেয়ে রিমঝিমের মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারেনি পেশায় রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করা রঞ্জিতবাবু।

মেয়ের  মৃত্যুর খবর শোনার পর দ্রুত চাইছিলেন পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। বৃহস্পতিবার ফোনে তার পরিবার জানতে পারে অভিশপ্ত গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা।তৎক্ষণাৎ ময়নাগুড়ি ছুটে যান বাড়ির লোকজন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। রঞ্জিত বর্মনের প্রতিবেশী জানান,রঞ্জিতবাবুর পরিবার খুবই গরিব । স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন রঞ্জিত বর্মনের স্ত্রী অনিমা বর্মন।

About Post Author