Home » পাওয়ার সেন্টারটা সরে যাচ্ছে,নেত্রীর গ্রীপ সরকার এবং পার্টিতে কমে যাচ্ছে, তোপ দিলীপের

পাওয়ার সেন্টারটা সরে যাচ্ছে,নেত্রীর গ্রীপ সরকার এবং পার্টিতে কমে যাচ্ছে, তোপ দিলীপের

 

সময় কলকাতা ডেস্কঃ এতদিন বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসায় শাসকদলের টিকা টিপ্পনি শুনতে হচ্ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে। এবার তৃণমুল দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। সেই নিয়েই বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। গতকাল মদন মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন তাদের দলের সভায় কোথায় গিয়ে অভিযোগ জানাবেন। তৃণমূল ভবনে গেলে শুধু সুব্রত বক্সীকে পাওয়া যায় আর কাউকে পাওয়া যায় না। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন ‘মদনদা অনেকদিন পরে মনের কথা বলেছেন। পুরানো পলিটিশিয়ান, অনেক উত্থান পতন দেখেছেন অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তাঁর মনের কথা বলার সুযোগ ছিল একটা বলার জায়গা চাই। উনি যার নাম বললেন সুব্রত বক্সীকে বলে কোনো লাভ নেই। ওনার সামনে বলা আর গাছের সামনে বলা একই কথা। এটা ঠিক যে টিএমসিতে পাওয়ার সেন্টারটা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। আর সেটা অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। কোন জায়গায় পুজোটা দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এইজন্যই প্রবলেম হচ্ছে।

পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে যে মন্ত্যব্য করেছিলেন  সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা  তাঁকে প্রশ্ন করেন,  উনি  যেটা বললেন সেটা কি ওনার নিজের ভাষা নাকি ওদের মধ্যে আবার গোষ্ঠীকোন্দল শুরু। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন….এটা তো আমি রিসার্চ করিনি। কিন্তু কল্যাণ ব্যানার্জিও মনের কথা বলেছেন। এটা ভালো যে একা মন কি বাত হতো মোদিজির, এবার অনেকের মন কি বাত শোনার সুযোগ হচ্ছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন,  নেত্রী নিজে কেন সরাসরি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে কিছু বলছেন না। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,আমি যেটা বললাম পাওয়ার সেন্টারটা সরে যাচ্ছে। নেত্রীর গ্রীপ সরকার এবং পার্টিতে কমে যাচ্ছে। যেভাবে ডায়মন্ড হারবার থেকে সৌমেন বাবুকে সরিয়ে এক ভাইপো কে এমপি করা হলো পরের ইলেকশনে হয়তো একই জিনিস শ্রীরাম পুরে দেখা যাবে। আর সেই জোরকা ধাক্কা ধীরে সে লাগে, তাতে কল্যাণ দা বুঝতে পেরেছেন তাই প্রথম থেকে তিনি সিগন্যাল দিচ্ছেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ  গোয়া সফর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না।তিনি বলেন, ‘শীতের সময় গোয়া সফরটা খুব ভালোই লাগে। সুন্দর পরিবেশ থাকে। দেশ বিদেশি লোক থাকে। অনেকবার যাওয়ার চেষ্টা করছেন গিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। জানি না কেউ আছে কি না ওনাকে রিসিভ করার জন্য’।

এদিকে ট্যাবলো বিতর্ক নিয়ে দিলীপ ঘোষ মুখ খোলেন, বলেন ‘ট্যাবলো বিতর্ক প্রত্যেকবার ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্টের একটা ফ্যাশন। সব ব্যাপারে বিতর্ক তৈরি করা একটা ফ্যাশন। মানুষ কে আসল সমস্যা থেকে সরিয়ে দিয়ে মন কে বিভ্রান্ত করার ফ্যাশন। ট্যাবল কি হবে না হবে ওখানে একটা কমিটি আছে দিল্লিতে তারা ঠিক করে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে প্রথম থেকে ইনফরমেশন দিয়ে করা উচিত। ওনারা বিতর্ক চান কাজ চান না।

সিএএ নিয়ে মতুয়ারা আন্দোলনে নামছেন বলে জানা যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুধু মতুয়া নয়। পশ্চিমবাংলায় আমার ধারনা প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি পূর্ব বাংলা থেকে আসা মানুষ আছেন যারা সিএএ হলে নাগরিকত্বের সুবিধা পাবেন। আর সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী এটা করেছেন। বিজেপি অর্ধেক কাজ করেছে অর্ধেক বাকি আছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল হলে ওটাও করবে। এবং বিজেপি একাজই করতে পারে। এজন্য মতুয়ারা বিশ্বাস করে এসেছেন বিজেপিতে। ভোট দিয়েছেন। আমি বলব আপনারা ধৈর্য ধরুন।

 

About Post Author