সময় কলকাতা ডেস্ক: বাংলায় ফের বড়সড় সাফল্যে কেন্দ্রীয়বাহিনী এনআইএ-এর।মালদা থেকে লক্ষাধিক টাকার জাল নোটের কারবারের পান্ডাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। ১৫ই জানুয়ারি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রাত ৯টা নাগাদ ফিল্ড জি টিম, ফারাক্কা, সেক্টর মালদা, বিএসএফ এবং এনআইএ কলকাতার কর্মীরা মালদা জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত মোজামপুর গ্রামে একটি যৌথ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে বড়সড় সাফল্য উঠে আসে তাদের হাতে। এই অভিযানে ধরা পরে এনআইএ-এর ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত অপরাধী ৪৫ বছর বয়সী আলাদু ওরফে মাতহুর শেখ ।
বিএসএফের তরফ থেকে ধৃতকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এনআইএ আধিকারিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সূত্রের খবর, এনআইএর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আলাদু জাল নোট কারবারের কথা স্বীকার করেছে।ধৃত ব্যক্তি জানায়, যে প্রতি এক লক্ষ টাকার জাল নোট বিতরণের জন্যে সে ৫০০০ টাকা পেত।
প্রসঙ্গত, এর আগেও, মালদায় একাধিকবার এমন জাল নোটের ঘটনা সামনে এসেছে। ডিআরআই(DRI) ২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের নেপাল সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা অসীম সরকার নামক এক জাল নোট কারবারি মালদা থেকে গ্রেপ্তার হয়।ধৃত অসীমের কাছ থেকে ১লক্ষ ৯৯হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়।এরপর এনআইএ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে এই অবৈধকারবারে তার সঙ্গী হিসাবে আলাদুর নাম নেয়। তারপরই, এই কেন্দ্রীয়বাহিনী আলাদুকে নিজেদের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত করে, তার খোঁজ চালানো শুরু করে। অবশেষে, প্রায় ৫ মাসের মাথায় এনআইএর হাতে ধরা পরে এই জাল নোট কারবারি।
এক আধিকারিক বলেন, ‘যে এই সাফল্য শুধুমাত্র ফিল্ড জি টিম, ফারাক্কা দ্বারা পরিচালিত গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়া জওয়ানদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতার কারণেই সম্ভব হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জাল নোটের কারবার সম্পূর্ণ আটকানোর জন্য ভারত সরকার নোট বন্দির পথে হেঁটেছিল। তবে, আজ নোটবন্দির ৬ বছর হয়ে যাওয়ার পরও এহেন জাল নোটের কারবারি বারবার সামনে আসছে। তাহলে এই কিভাবে জাল নোটের কারবারি সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ওয়াকিবহল মহল।
More Stories
প্রয়াত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস
ফুলচাষে ফুলেফেঁপে উঠছেন পূর্বস্থলীর পুষ্প-ব্যবসায়ীরা
ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! লরির সঙ্গে সংঘর্ষ উত্তরবঙ্গগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের