সময় কলকাতা ডেস্কঃ ডাকাতির আগেই হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাকাত দলের তিন পান্ডা গ্রেপ্তার,বড়ো-সড়ো ডাকাতির ছক ভেস্তে দিল পুলিশ । উদ্ধার হল একাধিক অস্ত্র । এবার বড় সড় সাফল্য পেল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ডাকাত দলের তিন পান্ডা কে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । দুষ্কৃতি দের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক, দুটি রামদা ও একটি বুলেট । ধৃত ওই তিন দুষ্কৃতির নাম শেখ খলিল (৩৫) বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর মসজিদ পাড়া, মনোজ রাম (২৩) বাড়ি মনোহরপুর, ও কার্তিক দাস (২২) বাড়ি বারডাঙ্গা এলাকায় । পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ৩ সন্দেহ ভাজন যুবক কে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । দেরি না করে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ আধিকারিকরা ওই ৩ সন্দেহ ভাজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে । এরপরই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র । থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল তারা । বড়োসড়ো ডাকাতির আগেই ডাকাত দলের তিন পান্ডা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি ।
সম্প্রতি গত সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকাতেই একটি সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল । হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ওই ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশ প্রশাসনের । বিভিন্ন এলাকায় সেই ডাকাত দলের খোঁজে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ । এমনকি বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশ করা নাকা চেক পোস্টেও তল্লাশি চালাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । মদের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকা ৪ দুষ্কৃতীকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলেই জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ।
হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবলু রজক বলেন, ” এলাকায় বড়ো-সড়ো ডাকাতির আগেই এই দুই দুষ্কৃতী ধরা পড়ায় আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই । পুলিশ যদি আরো আগে সক্রিয় হত তাহলে হরিশ্চন্দ্রপুর সম্প্রতি মদের দোকানে ডাকাতি হতো না । আমরা আশাবাদী পুলিশ এভাবেই এলাকায় সক্রিয় থাকবে । যাতে আগামী দিনে আমরা নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি ।”এ প্রসঙ্গে মদের দোকানের মালিক রাহুল প্রামাণিক বলেন, “আরো আগে পুলিশ সক্রিয় হলে আমার দোকানে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটত না । ওই ডাকাতিতে আমার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । আমি চাইছি আমার মদের দোকানে যে ডাকাতি হয়েছিল যে ৪ জন দুষ্কৃতী এর সাথে যুক্ত ছিল তাদেরকে যেন পুলিশ তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেফতার করে এটাই আমি চাই । আশা করব পুলিশ আরো সক্রিয় হবে । যাতে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে ।”
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, গতকাল গভীর রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার একটি জায়গায় হানা দেন তাঁরা । সেখানেই ওই তিন দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয় । পুলিশের সন্দেহ ওই তিন যুবক এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্যএ জড়ো হয়েছিল । মঙ্গলবার ওদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে । তাদের দুই দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ।
More Stories
RG Kar Protest Kumortuli: ‘আমার দুর্গা’-র বিচারের দাবিতে রাজপথে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা, কতটা পথ পেরোলে বিচার পাওয়া যাবে, জানতে চান হাতে টানা রিক্সাচালকেরা
বিচারের বাণী: ধনঞ্জয়ের ফাঁসি
হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ড ও একটি প্রহসন