Home » জীবিত থেকেও সরকারি খাতায় মৃতের তকমা

জীবিত থেকেও সরকারি খাতায় মৃতের তকমা

সময় কলকাতা ডেস্কঃ জীবিত থেকেও মৃতের তকমা আর তার ফলেই বন্ধ হয়েছে বার্ধক্য ভাতা । এমনই অভিযোগ উপপ্রধানের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে উওর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিঙ্গলেশ্বর গ্রামে । এই গ্রামেরই বাসিন্দা বছর ৭১ এর সহিদুল মন্ডল, পেশায় কৃষক । জীবিত থাকলেও সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী তিনি মৃত । এমনই আজব দৃষ্টান্তের সাক্ষী হলো বাদুড়িয়া । বিগত ১০ বছর ধরে সহিদুল মন্ডল বার্ধক্য ভাতা যথা সময়ে পেতেন । তিনি জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তার বার্ধক্য ভাতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় । তারপর তিনি ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাঙ্ক থেকে সঠিক কোনো কারণ জানায়নি । তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করেন । সেখান থেকেও কোনো ফল না মেলায় অবশেষে তিনি বাদুড়িয়ার বিডিও অফিসের নোডাল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করেন । তখন জানা যায়, আসলে বার্ধক্য ভাতার তালিকায় তিনি মৃত । সেখানে তাকে মৃত বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বয়ং বর্তমান যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাইদুল হক বৈদ্য ।

সহিদুলের অভিযোগ, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে যে তালিকায় সেই তালিকায় সই করেছেন জাইদুল হক নিজে । ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার বার্ধক্য ভাতা । এ ব্যাপারে অভিযোগের তীর যার দিকে, সেই জাইদুল হক ঘটনাটি স্বীকার করে নেন । তিনি এও জানান, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেও এটা হতে পারে । এব্যাপারে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান কনকলতা মন্ডল জানান, ”যে সময় জাইদুল হক এই কাজটি করেছিল সেই সময় তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছুটিতে ছিলেন।তখন পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন বর্তমানের উপপ্রধান জাইদুল হক বৈদ্য। যা করার তিনিই করেছেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত করেছি। চাইবো যত দ্রুত সম্ভব ওই ব্যক্তির বার্ধক্য ভাতা যেন চালু হয়।”

সহিদুল মন্ডল বিষয়টি নিয়ে বাদুড়িয়ার বিডিও, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসক, বাদুড়িয়ার বিধায়ক, যদুরহাটী উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে অভিযোগ জানিয়েছেন। দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থায় দিন কাটে বৃদ্ধ কৃষক সহিদুল মন্ডলের । তার কাছে এই বার্ধক্য ভাতা ছিল পরম প্রাপ্তির। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ মাস তা বন্ধ হয়ে থাকায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় রয়েছেন তিনি ও তার পরিবার । তিনি চাইছেন অবিলম্বে যেন তার মৃতের তকমা উঠে গিয়ে তাকে জীবিত ঘোষণা করা হয় এবং তার বার্ধক্য ভাতা যেন পুনরায় চালু হয় ।

About Post Author