সময় কলকাতা ডেস্কঃ ফের বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষের অভিযোগ। পানিহাটির বি বি বাগান অঞ্চলের বিজেপি কর্মী মহাদেব বসাকের দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে। দোকানের মালিক মহাদেব সাহাকে মারধরও করে দুষ্কৃতীরা। এই হিংসার জেরে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পানিহাটি বি বি বাগান এলাকা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খড়দা পুলিশ।এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিজেপি নেতা মহাদেব সাহা অবৈধভাবে ওই দোকানটি তৈরি করেন।এলাকাবসী বাধা দিতে গেলে বিজেপি নেতা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরে তা খণ্ডযুদ্ধের আকার নেয়।
এক স্থানীয়বাসিন্দার অভিযোগ, “মহাদেব সাহা সুদের ব্যবসা করেন।তিনি গরিব মানুষের গয়নার বিনিময়ে চড়া সুদে টাকা দেন। এলাকার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। ফলে তার ওপর আগে থেকেই অনেকের ক্ষোভ ছিল।” পাশপাশি আরও জানান, “ওই বিজেপি নেতা এলাকায় অবৈধভাবে একটি দোকান তৈরি করছিলেন। সেই দোকানের সামনে একজন টোটো চালক টোটো নিয়ে দাঁড়ালে, তাকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন।এরপর কর্মচারীদের নিয়ে বচসা সৃষ্টি করেন।” এরপর শুরু হয় খণ্ড যুদ্ধ।
দোকান ভাঙচুরের খবর পেয়ে, তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান, কলকাতা উত্তর শহরতলীর সাংগঠনিক জেলার যুব সম্পাদক জয় সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর এবং তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে।তিনি বলেন, ‘পুলিশের সামনেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা সহ ওই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। তিনি তোপ দেগে বলেন, এলাকায় তৃণমূল শাসকের আইন চালানোর চেষ্টা করছে।রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। এটা বেশিদিন চলতে পারে না।’
ঘটনা প্রসঙ্গে, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই।এই ঘটনাটি এলাকার অটো চালকদের সঙ্গে বচসার জেরে হয়েছে। বিজেপি নেতা জয় সাহা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অটো চালকদের ধমকাতে গেলে, এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের সুরক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। অটো চালাকদের মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সব পার্টির সমর্থক রয়েছে। বিজেপির সমর্থকদের কাছেই মার খেয়েছে তারা।”
More Stories
উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রয়াত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস
ফুলচাষে ফুলেফেঁপে উঠছেন পূর্বস্থলীর পুষ্প-ব্যবসায়ীরা