সময় কলকাতা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন বাড়িতে আটকে থাকার প্রভাব পড়ছে শিশুমনে । এবার মানসিক ভাবে ক্ষুদে পড়ুয়াদের চাঙ্গা রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর । রবিবার থেকে এই বিষয়ে শুরু হয়েছে ওয়েবিনার। পাশাপাশি সরস্বতী পুজোর আগে স্কুলে আংশিক ক্লাস চালু নিয়েও চলছে আলোচনা । শনিবার স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ থেকে দূরে থাকা ও সমবয়সিদের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব পড়ছে ।
ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অসুবিধা হওয়ায় মনস্তাত্ত্বিক আচরণও প্রভাবিত হচ্ছে। যার প্রতি যত্ন না নিলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে । এই পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলশিক্ষা বিভাগ বিশেষ ওয়েবিনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যা পড়ুয়াদের মানসিক সহায়তা প্রদান করার জন্য সহায়ক হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনার গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে। তা উল্লেখ করে স্কুল খোলার দাবিতে সরব হয়েছে নানা মহল । শ্রেণিকক্ষ ফের খুলতে চেয়ে শিক্ষা দপ্তর চিঠি পাঠিয়েছে নবান্নে । বিকাশ ভবনের শিক্ষা কর্তারা মনে করছেন সোমবার নাগাদ সবুজ সংকেত আসতে পারে। মাঝে অল্প কিছুদিন বাদ দিলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ । গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত খোলা হয়েছিল স্কুল । ফের করোনার দাপট বাড়তে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । চিকিৎসকদের বড় অংশ বলছে, টানা বাড়িতে থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছে ছাত্রছাত্রীরা । সেইমতো স্কুল শিক্ষা দপ্তর ২৩ জানুয়ারি থেকে ওয়েবিনার শুরু করেছে । এই ওয়েবিনারের নাম ‘উজ্জীবন চর্চা ।’ শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি আলোচনা হবে মনোবিদদের সঙ্গেও।
স্কুলে পঠন-পাঠন চালু না হওয়ার প্রতিবাদে এদিনও শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জেলায় । শিক্ষা দপ্তরের মতে, বাংলার তুলনায় মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও ২৪ জানুয়ারি প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন পুনরায় চালু হচ্ছে । অথচ এ রাজ্যে এখনও বিষয়টি আলোচনার স্তরে । এদিন উত্তর ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ চলে। স্কুল খোলা নিয়ে মাঠে নেমেছেন রাজনৈতিক দলগুলিও । একদিকে বিরোধীদের প্রশ্ন, বার, পার্লার, সেলুন-সহ বিনোদনের সব জায়গা খোলা । তবে স্কুল বন্ধ কেন ? অপর দিকে শাসক দল বলছে তারা দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে । তবে স্কুল খুললেই ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ।
More Stories
প্রসঙ্গ বাংলাদেশ : সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় মতুয়ারা
হাইকোর্টের রায়ে পঞ্চায়েতে ফিরেও ঘর ছাড়া আরাবুল
জাঁকিয়ে শীত আসবে, গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম