সময় কলকাতা ডেস্কঃ এ যেন এক স্মরণীয় শ্মশান যাত্রা।এক বৃদ্ধার বিদায়যাত্রা করা হল গানের তালে নাচতে নাচতে। “আমি হেলে দুলে যাব শশান ঘাটে” গানের তালে কোমর দুলিয়ে শ্মশান যাত্রায় অংশ গ্রহন নয়েছেন প্রায় খানেক মানুষ। এই বিরল দৃশ্যে দেখতে রাস্তার পাশে ভিড় জমায় এলাকাবাসীরা। তাদের মধ্যে কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত আবার কেউ এই বিরল ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে! এই বিস্ময়কর ঘটনাটি দক্ষিন ২৪ পরগণার গঙ্গাসাগর ব্লকের কোস্টাল থানার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর এলাকার ঘটনা।
মৃত ওই মহিলার নাম বনলতা খাটুয়া। তার বয়স হয়েছিল ১১৩ বছর। কালের নিয়মে যেমন সবাইকেই একদিন চলে যেতে হয়, তেমনই রবিবারও সেঞ্ছুরি পার করা বনলতাদেবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বার্ধক্যজনিত রোগেই মৃত্যু হয় তার। এরপরই তার মৃতদেহকে দুঃখের সঙ্গে নয় বরং ব্যান্ডপার্টি সহ আনন্দ করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্যর জন্য ।শ্মশানযাত্রায় ব্যান্ডপার্টি সহ নাচ দেখে গঙ্গাসাগর এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে যায়। অনেকে আবার কৌতূহল মেটাতে প্রশ্ন করে ফেলেন, শেষকৃত্য হচ্ছে না! ঠাকুর বিসর্জন হচ্ছে?
যদিও বৃদ্ধার পরিবারের এ বিষয়ে ‘কুচ পরোয়া নেহি’।তার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তার মৃত্যুতে কেউ শোক প্রকাশ করবে না।বরং আনন্দ করতে করতেই তার শেষযাত্রায় সামিল হবে সবাই।
এক শ্মশানযাত্রী জানান, “সাগরদ্বীপ এ এক অভিনব শ্মশান যাত্রা দেখছে। ওনার মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছা ছিল যে তাকে যেন ব্যান্ডপার্টি সহ শ্মশানে পোড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়।” সেজন্যই তার পরিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্মশানে একদিকে মৃত বৃদ্ধার দেহ চুল্লিতে পুড়ছে, অন্যদিকে তখন “আমি হেলে দুলে যাব শশান ঘাটে” গানে শ্মশানযাত্রীরা উদ্যম নাচতে ব্যস্ত। বৃদ্ধার মৃত্যুর পর এমন শেষকৃত্যর শোভাযাত্রার ঘটনা স্মরণীয় হয়ে থাকবে দাবি বাসিন্দাদের।
More Stories
প্রয়াত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস
ফুলচাষে ফুলেফেঁপে উঠছেন পূর্বস্থলীর পুষ্প-ব্যবসায়ীরা
ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! লরির সঙ্গে সংঘর্ষ উত্তরবঙ্গগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের