সময় কলকাতা ডেস্ক: কোথাও সংস্কারের অভাবে আবহার কোথাও জবরদখল হয়ে যাচ্ছে নিকাশি নালা।ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমছে নানা এলাকায়। ফি বছরের জল যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ বসিরহাট পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বিজয় চন্দ্র দাস রোড এলাকার বাসিন্দারা।তেমনই একজন হলেন, পুষ্প রানী সিংহ।জল যন্ত্রনা থেকে পরিত্রাণের পাশাপাশি শ্বশুরের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চান পুস্পদেবী। তাই অভিনব কায়দায় দোতলা বাড়িটিকেই চার ফুট উপরে তুলে একঢিলে দুইপাখি মারলেন ওই গৃহবধূ।
সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হরিয়ানার একটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে বাড়িটি তোলার ব্যবস্থা করেছেন পুস্পদেবী।বরাতপাওয়া সংস্থা ইতিমধ্যেই বাড়িটাকে মাটি থেকে চার ফুট তোলার জন্য জগ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছে।শুধু তাই নয় বাড়ি তুলতে তাঁরা কাজও শুরু করে দিয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি মাটি থেকে চার ফুট উপরে তুলতে প্রতি স্কোয়ারফুট ৩০০, টাকা খরচ হবে। যেহেতু দ্বিতল বাড়ি তাই প্রতি স্কোয়ারফুট ৬০০, টাকা খরচ পড়বে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
পুস্পদেবী বলেন, শ্বশুরের আমলের এই বাড়িটি তৈরি হয়েছিল। পুরসভা রাস্তা উঁচু করেছে। ফলে বৃষ্টি হলেই রাস্তার জল ঘরের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে।গত বছরের বর্ষায় ঘরের মধ্যে এক হাঁটু জল জমে ছিল।এই বাড়ি বসবাস করার অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল। তাই পূর্বপুরুষের স্মৃতি অটুট রাখতে আমরা হরিয়ানার কোম্পানিটির সঙ্গে কথা বলে বাড়িটি উঁচু করার ব্যবস্থা করেছি।
বরাত পাওয়া কোম্পানির মালিক, রাজীব কুমার বলেন, আগেও আমরা অন্য রাজ্যের বহু বড় বড় বিল্ডিংকে উঁচু করেছি।বাড়ি তুলতে গিয়ে বাড়ির মালিকের কোনও ঝুঁকি নেই। এই রাজ্যে আমরা প্রথম দোতলা বাড়ির কাজ করছি। এই এলাকার প্রচুর মানুষের বাড়ি নিয়ে ব্যাপক সমস্যা আছে। আমাদের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাঁদের সমস্যা সমাধান করে দিতে পারব।
More Stories
উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রয়াত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড নারায়ণ বিশ্বাস
ফুলচাষে ফুলেফেঁপে উঠছেন পূর্বস্থলীর পুষ্প-ব্যবসায়ীরা