সময় কলকাতা ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বানিজ্যিক মাছের চাষ।নয়াচর এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের আয়ের উৎস মাছচাষ।একা বা কয়েকজন মিলে ব্যাঙ্ক অথবা মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তৈরি করেছেন মাছের ভেড়ি।ভেড়িতেবিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষকরে লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছিলেন নয়াচরের মৎস্যচাষীরা।কিন্তু তাঁদের আশায় আচমকাই আঘাত হানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।আমফানের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের ইয়াসের তাণ্ডবে তচনছ হয়ে গিয়েছে মাছচাষীদের স্বপ্ন। ঝড়ের তাণ্ডবে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ভেড়ির বাঁধ। ভেসে গিয়েছে ভেড়ির মাছ।ফলে কিভাবে ব্যাঙ্ক ও মহাজনের দেনা শোধ করবেন তা নিয়ে দিশেহারা মৎস্যচাষীরা।
নয়াচরের মৎস্যচাষীরা জানান, প্রকৃতিক বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে ভেড়িগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই একমাত্র রাস্তা। কিন্তু ভেড়ির বাঁধ মেরামতির জন্য সরকারি সাহায্য তো দূরের কথা। ভেড়ি মালিকরা নতুন করে ধারদেনা করে তা করতে চাইলেও বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। ফলে নতুন করে মাছ চাষ করতে পারছেন না সর্বস্বান্ত চাষিরা।কিন্তু ধার নেওয়া টাকা দ্রুত শোধ করার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে ব্যাঙ্ক ও মহাজনেরা।তাই দ্রুত ভেড়ি সংস্কারের অনুমতি না পেলে না খেতে পেয়ে মরা ছাড়া উপায় নেই।তাই বাধ্য হয়ে জেলা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন নয়াচরের মৎস্যচাষীরা।
অসহায় মৎস্যচাষীদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের খবর চাউর হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।মৎস্যচাষীদের এই অবস্থার জন্য রাজ্যের শাসক ও বিরোধীরা একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে্।
More Stories
লটারি দুর্নীতিতে মধ্যমগ্রামে তল্লাশি ইডির
অফিস টাইমে নিয়মিত ট্রেন লেট! ক্ষিপ্ত যাত্রীরা, লাইনে নেমে প্রতিবাদ খড়গপুর শাখায়
বিজেপির পর এবার আইএসএফের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! ঘটনায় চাঞ্চল্য হাড়োয়ার কাঁকড়া মির্জানগরে