Home » উত্তাল কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল,মারপিট করলেন শিক্ষকরা

উত্তাল কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল,মারপিট করলেন শিক্ষকরা

সময় কলকাতা ডেস্কঃ ভাগ্যিস, আজ স্কুল খোলা নেই। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের হাতাহাতিতে উত্তাল কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল।

পোস্টার নিয়ে কার্যত প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক।তাঁর নাম নিমাই মজুমদার।মূলত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন ছিল তাঁর।সেই পোস্টার শুধু মাত্র খামখেয়ালিপনা প্রতিবাদ নয় বরং ছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নীতিহীন ভাবে স্কুল পরিচালনার অভিযোগ।

পোস্টার বিতর্কের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিকরা।আত্ম পক্ষ সমর্থনে প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সামনে। সেই বক্তব্যের মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষক নিমাই মজুমদারকে অফিসের কর্মীরা একবার জুতো নিয়ে মারতে গিয়েছিল বলে, তিনি বক্তব্য রাখেন।প্রধান শিক্ষকের মুখে এই কথা শুনে সটান মাথায় ঘুষি চালান আন্দোলনরত শিক্ষক নিমাই মজুমদার। আর মার খেয়ে প্রধান শিক্ষক পাল্টা মারতে থাকেন নিমাই মজুমদারকে।সেই ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়।এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও কৃষ্ণনগরবাসীর মধ্যে।

এদিন ধর্নায় বসা কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক নিমাই বিশ্বাসের অভিযোগ, তিনি বিদ্যালয়ের অফিসে দীর্ঘদিন ধরে দরবার করছেন। ইনকাম ট্যাক্স ফাইলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজের জন্য।কিন্তুু অফিসের এক ক্লার্ক তাঁকে জানিয়েছে প্রধান শিক্ষক না নির্দেশ দিলে তারা মেশিন খুলে সেই কাগজ তাঁকে দিতে পারবে না।আর এতেই চোটে লাল ভূগোলের শিক্ষক নিমাই বিশ্বাস।

তাঁর অভিযোগ স্যালারি স্লিপ পাওয়াটা তাঁর চাকরির স্বাভাবিক অধিকার। সেটার জন্য প্রধান শিক্ষকের চেম্বারে দরবার কেন তাঁকে করতে হবে। মেশিন খুলে তিনি যদি স্যালারি স্লিপ প্রিন্ট করেন তাহলে বাড়বে তাঁর আরো বিপদ। স্কুলের অফিসের কম্পিউটারে রয়েছে রাশি রাশি দূর্নীতির হিসাব।ফলে মেশিন খুললেই সব দূর্নীতির দায় তাঁর ঘাড়ে এসে পড়বে।নিরুপায় শিক্ষক নিমাই মজুমদার এই দিন স্যালারি স্লিপের দাবীতে প্রধান শিক্ষকের চেম্বারের সামনে ধর্নায় বসেন।

আর ধর্নায় থাকা সহ শিক্ষকের সমস্যা সহমর্মিতার সঙ্গে না মিটিয়ে উল্টে প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন মজুমদার পাল্টা অন্দোলনরত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন গনমাধ্যমে।আর তাতেই বিদ্যালয়ের দু-শিক্ষকের হাতাহাতি চলে এল সকলের সামনে।তবে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটাই গুঞ্জন, ভাগ্যিস আজ স্কুল বন্ধ।না হলে পড়ুয়াদের সামনে এমনটা হলে মান সম্মান থাকত না।প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল নদীয়া সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা কলেজে।

About Post Author