সময় কলকাতা ডেস্কঃ প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। গোটা জীবন ধরে সঙ্গীতের আরাধনা করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সারাজীবন অবিবাহিত থাকলেন কেন? বিয়ের কথা কখনো ভাবেননি কেন? এ বিষয়ে কোনো আক্ষেপের সুর কি শোনা গিয়েছে তার কণ্ঠে?
একবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লতা জানিয়েছিলেন, সবকিছুই ঈশ্বরের ইচ্ছাকৃত। যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়। সেই সময় লতা বলেন, আগে এই প্রশ্নের কী উত্তর দিতেন তিনি জানেন না কিন্তু এখন আর তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই। বিবাহিত জীবন কখনোই মিস করেন না তিনি। তবে তিনি একাকীত্বে ভোগেন। কারণ পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে সেই সব সোনালি দিনগুলো এখন মিস করেন তিনি।
একসময় শোনা গিয়েছিল, দুঙ্গরপুরের রাজ ঘরানার মহারাজ রাজ সিং এর প্রেমে পড়েছিলেন লতা। কিন্তু সে প্রেম পূর্ণতা পায়নি। হয়তো সে কারণেই আর কখনো বিয়ের কথা ভাবেননি তিনি। বিয়ে করেননি রাজ সিংও কারণ তিনি তার বাবা-মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে তিনি কোনো সাধারণ ঘরের মেয়েকে রাজ বাড়ির বউ করবেন না। তাই হয়তো তিনি ও সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন।পরিণতি পেল না ভালোবাসা।
অন্যদিকে,গোটা সংসারের দায়িত্ব ছিল লতার কাঁধে। সারা জীবন অবিবাহিত থেকে ছোট ছোট ভাই বোনেদের আগলে রেখেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তাই আলাদা করে নিজের সংসার করার কথা ভাবেননি তিনি। লতার দাদা ছিলেন রাজ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। লতার থেকে ছয় বছরের বড় ছিলেন রাজ সিং। বন্ধুর বোনকে মিট্টু বলে ডাকতেন রাজ। রাজের পকেটে সবসময় একটি রেকর্ডার থাকত। সেখানে লতার কিছু বিখ্যাত গান রেকর্ড করা থাকত। এরপরে আর কখনো কারো সঙ্গে নাম জড়ায়নি লতার। ২০০৯ সালে প্রয়াত হন রাজ সিং।
আর আজ ২০২২ এর ৬ ফেব্রুয়ারি, সুরলোকে পাড়ি দিলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, রেখে গেলেন তার সুর, তার কণ্ঠ, অসাধারণ সব গান। যা মানুষের হৃদয়ে সারা জীবন অমর হয়ে থেকে যাবে।
More Stories
বাঙালি পর্যটকদের জন্য : গরমে কাছেই ঝান্ডি ঘুরে আসুন, স্বস্তি মিলবে
হাতে ভর দিয়ে হাঁটেন তবুও পঞ্চাশ কিলোমিটার উজিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির
গোদের উপর বিষফোঁড়া! গন্ডার তাড়াতে হাতি! ক্ষতি রুখতে গিয়ে দ্বিগুণ ক্ষতি! ভুট্টাক্ষেত সাবাড়!