সময় কলকাতা ডেস্কঃ ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির দোমহানিতে বেলাইন হয়ে যায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। আজ প্রায় এক মাস হতে চলল সেই রেল দুর্ঘটনা। এই এক মাসে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এলো রেলের বিরুদ্ধে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ। সূত্রের খবর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি ওই দুর্ঘটনা নিয়ে যে তদন্ত করেছে, তাতে উঠে এসেছে বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ওই ইঞ্জিনের দেড় মাস কোনও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। যদিও এর আগে ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান জানান দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ হতে ৬ মাস লাগবে।কিন্তু প্রায় এক মাস পেরোতে পেরোতেই প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে উঠে এল রেলের চরম গাফিলতির কথা।
উল্লেখ্য নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় পটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ১৫৬৩৩ আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির দোমোহনি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটির পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে ৯ জন যাত্রীর মৃত্যুও ঘটে। আহত হয় শতাধিক যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য আহত ও নিহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করে। ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়ার পথে হাঁটল ভারতীয় রেল দপ্তর। রেল সূত্রে খবর, দ্রুত বদল করা হবে পুরনো কোচ। সব ট্রেনে ধাপে ধাপে লাগানো হবে এল এইচ বি (LHB) কোচ। পাশাপাশি, নেওয়া হবে একগুচ্ছ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেমন প্রতিবার ট্রেন ছাড়ার সময় ইঞ্জিন পরীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি বাধ্যতা মূলক। সুরক্ষার সম্পুর্ন ছাড়পত্র পেলে তবেই সেই ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাবে।
More Stories
ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন মামলায় খারিজ মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ
পড়ে গিয়ে হিপ ফ্র্যাকচার হয়ে হাসপাতালে তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও
বলিউডে ইন্দ্রপতন : প্রয়াত জুনিয়র মেহমুদ