সময় কলকাতা ডেস্ক : প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই একদা কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত বহরমপুরে বাড়িছাড়া কংগ্রেস প্রার্থীরা। হামলার আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে পার্টি অফিসেই আশ্রয় নিয়েছেন ২৬ জন কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেসের অভিযোগ শাসকদলের চাপে তাঁদের দলের দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতেও বাধ্য হয়েছেন। তাই হামলা ও হুমকি এড়াতে প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পার হওয়ার পর থেকেই বহরমপুর শহরের একাধিক কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয় এক প্রার্থীর বাড়িতে গুলিও চালিয়েছে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত বলেই বারবার দাবি করেছে কংগ্রেস। ঘটনাগুলি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার তো দূরের কথা চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেনি। তাই আতঙ্কে কংগ্রেস প্রার্থীরা বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। কংগ্রেস প্রার্থীরা জানান, দুষ্কৃতী হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা ভোট পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পুরসভার দখল পাইয়ে দিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলের নেতাদের কোটি কোটি টাকার ডিল হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র টিকিয়ে রাখলেও সাধারণ মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন না। এটা বাংলার লজ্জা। এটা গনতন্ত্রের লজ্জা।মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেজন্য কমিশনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
More Stories
পূর্বস্থলীর কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা কিসের অশনি সংকেত?
প্রকাশ্যে মাংস কাটা : দৃশ্যদূষণ ও শিশুমনে প্রভাব উত্তরবঙ্গের জেলায়
দুদিনের বৃষ্টি সর্বনাশ ডেকে আনল পূর্ব বর্ধমানের চাষের