সময় কলকাতা ডেস্ক :
পুরভোট দুয়ারে অথচ দুয়ারে পৌঁছায়নি পরিষেবা। বারাসাতের পুরনির্বাচনের ঠিক চোদ্দোদিন আগে, রবিবার সকালে,১০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ প্রাক্তন বাম কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে সামিল হলেন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে।তাঁদের ক্ষোভ তাঁরা উগরে দিয়ে বললেন, ভোট এলেও তাঁদের আবার প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার। বারাসাতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর প্রশ্ন, নির্বাচনে যাই ঘটুক এতদিন নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হল কেন তাঁদের?
সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলার রত্না ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ অর্থ এবং সাহায্য পেলেও যথাযথভাবে তাকে ওয়ার্ডবাসীদের উন্নয়নে কাজে লাগান নি। বৃহৎ পরিষেবা দূরে থাকুক,সামান্য পরিষেবা থেকে তাঁরা বঞ্চিত। ময়লা ফেলার জন্য দেওয়া বালতি এলাকাবাসী পান নি। অনেকেরই অভিযোগ,পুরসভার বালতি তাঁরা চোখেই দেখেন নি অথচ পুরসভার বক্তব্য প্রতিটি বাড়িতে বালতি পৌঁছে যাওয়ার কথা।
রত্না ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তৃণমূলের প্রার্থী দেবব্রত পালের প্ররোচনায় বিক্ষোভ হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভের পরোয়া করছেন না প্রাক্তন সিপিএম পুরমাতা তবুও প্রশ্ন উঠছে।ক্ষোভের মধ্যেই এদিন দেবব্রত পালকে নির্বাচিত করার উল্লেখ করলেও স্থানীয় মানুষ বলছেন, পুরভোটে ক্ষমতায় যে-ই আসুন, বিগত পাঁচ বছরে রত্না ভট্টাচার্যের কাজের মূল্যায়নে তাঁদের অপ্রাপ্তির হিসেব কে দেবে? আগামী দিনে দেবব্রত পাল জিতলেও এতদিন ধরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের বঞ্চনার দায় কে নেবে? ক্ষোভ মানুষের বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ বলেই জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ।।
More Stories
মদন মিত্র : কেন বাইপ্যাপ সাপোর্ট? শারীরিক অবস্থার অবনতির পরে এখন কেমন আছেন কামারহাটির বিধায়ক ?
পড়ে গিয়ে হিপ ফ্র্যাকচার হয়ে হাসপাতালে তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে বিশেষ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর