সময় কলকাতা ডেস্ক : কেউ ভালবেসে তাঁকে প্যাডম্যান বলেন আবার কেউ বলেন ভবঘুরে রাজা।নীলাঞ্জন দত্ত, বয়স ৪৬, বাড়ি কোচবিহার। আপাদমস্তক বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী এই মানুষটা সকলের থেকে অনেকটাই আলাদা। কাজ করেন নিজস্ব স্টাইলে,নিজস্ব ভঙ্গিমায়।নীলাঞ্জনবাবুর মা অঞ্জলিদেবী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আট বছর আগে। অনেক চেষ্টা করেও মাকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। সেই স্মৃতি আজও কুরে কুরে খায় তাঁর মনকে।
মাকে হারিয়ে শপথ নিয়েছিলেন, আর যেন তাঁর মায়ের মত কোনো মা বোনকে ক্যান্সারের মত মারন রোগে কষ্ট পেয়ে মরতে না হয়।সেই থেকে শুরু। একের পর এক মেয়েদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির করলেন তিনি। তাঁর এই লড়াই এ পাশে পেলেন পদ্মশ্রী করিমূল হককে। করিমূলবাবুর অনুপ্রেরনায় নীলাঞ্জনবাবু মেয়েদের হাতে স্যানিটারী ন্যাপকিন তুলে দিতে শুরু করলেন। টার্গেট নিলেন ১০লক্ষ প্যাড বিলি করবেন। যা লক্ষ্য তাই কাজ।
শুধুমাত্র কোচবিহারের গন্ডিতে নিজেকে আর আটকে রাখলেন না। বেরিয়ে পড়লেন। শুরু হল নতুন অধ্যায়। পাহাড় থেকে সমুদ্র নতুন লড়াই।আদিবাসী সমাজ থেকে শুরু করে সাধারণ গলি আবার সংখ্যালঘু এলাকা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহিলাদের সচেতন করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন প্যাড।
সমাজের বুকে এ যেন এক নব আন্দোলনের সূচনা যাঁর মশাল জ্বালিয়ে দিলেন নীলাঞ্জন দত্ত।
More Stories
পুজোর আগেই রক্তাক্ত বীরভূম, কয়লাখনির বিস্ফোরণে মৃত ৭
গোপনে আপত্তিকর ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে
জয়নগর কাণ্ডের ময়নাতদন্ত হবে আজ, মৃতদেহ নিয়ে পুলিশ হাজির কল্যাণী এমসে