Home » লালন শেখের মৃত্যু মামলার তদন্তে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিআইডির

লালন শেখের মৃত্যু মামলার তদন্তে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিআইডির

সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বরঃ সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ। লালন শেখ আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। এরপরই বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য পুলিশের সিট গঠনের নির্দেশ দেয় করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনার এখনও তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। এবার লালন শেখের মৃত্যু মামলার তদন্তের রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে জমা দিল সিট। সেইসঙ্গে লালনের রহস্য মৃত্যুর তদন্তের অগ্রগতিতে হাইকোর্টের কাছে আরও এক মাস সময় চাইল সিট। এর আগে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ডিআইজি সিআইড-কে লালন শেখের মৃত্যু মামলার তদন্তের নির্দেশে দেন। কিন্তু সেই তদন্তে অনেক খামতি থাকার কারণে পরবর্তীতে হাইকোর্ট সিট গঠন করে। এদিন আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে লালন শেখের মৃত্যু মামলার তদন্তের অগ্রগতির পরবর্তী রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আরও  পড়ুন   ২০২৩ সালে বিশ্বকর্মা পুজো চিরাচরিত ১৭ তারিখে না হয়ে ১৮ তারিখে হচ্ছে কেন?

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই লালন শেখের মৃত্যু হয়। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ। লালন শেখ আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই। যদিও, লালনের পরিবারের দাবি, মিথ্যা কথা বলছে সিবিআই। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে লালনকে, এমনটাই অভিযোগ তোলে লালন শেখের পরিবারের। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে থাকার সময়ে লালনের কীভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছিল। লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকে থমথমে বগটুই গ্রাম। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সিবিআই এর অস্থায়ী ক্যাম্পও ঘিরে ফেলে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরই লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত।

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে বগটুই কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তথা সারা দেশে শোরগোল পড়ে যায়৷ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২২ এর ২১ মার্চ রাতে৷ ওই রাতেই সাড়ে ৮ টা নাগাদ বোমা মেরে খুন করা হয় এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে৷ অভিযোগ, সেই খুনের বদলা নিতেই পালটা হামলা চালানো হয়৷ রাতের অন্ধকারে গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ তাতে গ্রামের ১০ থেকে ১২ টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ন’জনের৷ এরপরই বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে ভাদু শেখের ছায়া সঙ্গী লালন শেখকে ৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে সিবিআই। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে আবেদন মত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

About Post Author