Home » ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক প্ৰখ্যাত বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন প্রয়াত

ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক প্ৰখ্যাত বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন প্রয়াত

সময় কলকাতা ডেস্ক,২৮ নভেম্বর : প্রয়াত হলেন ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথন। ভারতের কৃষিবিজ্ঞানকে নতুন পথ দেখাতে তাঁর অবদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বিংশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ভারতের কৃষিবিজ্ঞানে যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। মৃত্যু কালে তিনি তিন কন্যাকে রেখে গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ২০২২ সালে প্রয়াত হন।

এম এস স্বামীনাথন উচ্চ-ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে ভূমিকা রেখেছিলেন যা ভারতের নিম্ন আয়ের কৃষকদের আরও বেশি ফলন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল। বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী প্রয়োগের জন্য দায়িত্বশীল পদে  থাকাকালীন স্বামীনাথন তার ভাবনার অসামান্য প্রভাব রেখেছিলেন।

তিনি ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (১৯৬১-৭২), আইসিএআর (ICAR)- এর মহাপরিচালক এবং ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগের সচিব (১৯৭২-৭৯), কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব (১৯৭৯-৮০) নিযুক্ত হন। প্ল্যানিং কমিশনের কৃষি ও বিজ্ঞানের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং পরে সদস্য (১৯৮০-৮২) এবং, ফিলিপাইন্সের আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (১৯৮২-৮৮)-এর ডিরেক্টর জেনারেল।

২০০৪ সালে, স্বামীনাথনকে কৃষকদের জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল,কৃষকদের উদ্বেগজনক আত্মহত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের দুর্দশা দেখার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল।কমিশন ২০০৬ সালে তার রিপোর্ট পেশ করে এবং সুপারিশ করে যে, ন্যূনতম বিক্রয় মূল্য (MSP) উৎপাদনের ওজনযুক্ত গড় খরচের চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি হওয়া উচিত।

১৯৮৭ সালে প্রথম বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারে ভূষিত হন যার পরে তিনি চেন্নাইয়ের তারামণিতে এমএস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এমএসএসআরএফ) স্থাপন করেন।স্বামীনাথন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন।তিনি এইচ কে ফিরোদিয়া পুরষ্কার, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় পুরস্কার এবং ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারের প্রাপক, রেমন ম্যাগসেসই পুরস্কার (১৯৭১) এবং আলবার্ট আইনস্টাইন বিশ্ব বিজ্ঞান পুরস্কার (১৯৮৬) সহ বেশ কয়েকটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার  পেয়েছেন।।

আরও পড়ুন হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ট্রুডো ও তাঁর ভারতবিরোধী মন্তব্যের কড়া সমালোচনা কানাডার শীর্ষনেতার

About Post Author