সময় কলকাতা ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায় উত্তরায়ণের বাগানে আম চুরি করতে গিয়ে কবিগুরুর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ। সেই সাক্ষাৎ থেকে আপনজন হয়ে উঠে ক্রমেই কন্যাস্নেহে তাঁকে কবিগুরু বুকের মাঝে রেখেছিলেন আমৃত্যু। তাঁর গানে মুগ্ধ ছিলেন কবিগুরু। গায়িকার ১৭ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ চিরঘুমের দেশে চলে যান। কবিগুরুর গান পরবর্তী রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর ৫৯ বছর পরেও তাঁর গলায় নবনবরূপে সামনে এসেছে , নতুন ব্যাপ্তি আর প্রগাঢ়তা পেয়েছে। তিনি কবিগুরুর মোহর ।বেঁচে থাকলে আজ ১০০ বছরে পা দিতেন সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। টপ্পা অঙ্গের রবীন্দ্রসংগীতে নীলিমা সেন, কমলা বসুর পাশাপাশি যে নামটি আজও সবার আগে করতে হয় তা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । রবি ঠাকুরের মোহরকে অবনীন্দ্রনাথ বলতেন আকবরী মোহর। শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়ি “আনন্দধারা” বৃহস্পতিবার দিনভর উৎসবের আবহে মুখর থাকবে গায়িকার শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে।
কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম বাঁকুড়ার সোনামুখীতে।তাঁর বাবা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারের কর্মী ও মা অনিলা দেবী ছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমজননী। তাদের আট সন্তানের মধ্যে অনিমা ছিলেন জ্যেষ্ঠতমা। অনিমা আর কেউ নন, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নামই ছিল অনিমা।অল্পবয়স থেকেই আশ্রমেই মানুষ অনিমার ১১ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ নাম পাল্টে রাখেন কণিকা।কবিগুরু তাঁকে অবশ্য মোহর নামেই ডাকতেন।
১৯৩৮ সালে প্রথম রেকর্ড থেকে শুরু করে শেষ কয়েকটা বছর বাদ দিলে আমৃত্যু অজস্র গান গেয়ে গেলেও তাঁর গলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’। বেশ কিছু অতুলপ্রসাদের গানও গেয়েছেন তিনি যা আজ সেভাবে শোনা যায় না। ১৯৮৪ সালে সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে বেশ কিছু সময় রোগভোগের পরে কলকাতায় তাঁর প্রয়াণ হয়।।
আরও পড়ুন :আশিয়ানে কী বাত : গজলের সম্রাজ্ঞী নূর জাহানের গানের জাদু আজও অম্লান
More Stories
সংস্কৃতির মনোজ্ঞ সন্ধ্যায় মুগ্ধতার উদযাপন
বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গ দাঁইহাটের রাস উৎসব
বারাসাতেও শুরু হল ২৮তম যাত্রা উৎসব