সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর : অরাজকতা ও নৈরাজ্যের চূড়ান্ত বারাসাত জুড়ে। বেশ কিছু এলাকা রাত বাড়লেই দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। তারা নিরীহ মানুষদের আক্রমণ করতে ছাড়ে না। নেশাসক্ত, মদ্যপ দুষ্কৃতীদের হাতে খুনও হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।কালীপুজোর পরে এই নৈরাজ্য ও অরাজকতা এবং আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে বারাসাতে। বারাসাতের নেতাজি পল্লী এলাকায় কালীপুজোর পরে বৃহস্পতিবার রাতে তান্ডব চালায় একদল মদ্যপ দুষ্কৃতী। মদ্যপ দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। মদ্যপ অবস্থায় নিরীহ পথচারীদের ওপরে বিনা প্ররোচনায় বাঁশ ও রড নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কর্মীদের ওপরেও হামলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও রেয়াত করে নি দুষ্কৃতীরা । বাড়ি ফেরার পথে সশস্ত্র মদ্যপ দুষ্কৃতীদের হামলায় মাথা ফাটল সংবাদ মাধ্যমের কর্মী প্রীতম বর্ধনের । গুরুতর আহত প্রীতম বর্ধনকে চিকিৎসার জন্য বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।মদ্যপ দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত নিরীহ মানুষদের সংখ্যা দশের অধিক। বেধড়ক মারধর করা হয় সাধারণ মানুষকে।রাতে গুরুতর জখম হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন নিরীহ পথচারীরা।
‘সময় কলকাতা’ সংবাদ মাধ্যমের কর্মী প্রীতম বর্ধন বৃহস্পতিবার রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে অধিকাংশ সময় এই এলাকা চলে যায় দুষ্কৃতীদের দখলে। দুষ্কৃতীরা নিজেদের মধ্যে কোনও কলহজনিত কারণে এদিন হয়ে ওঠে অশান্ত। প্রীতম নেতাজি পল্লী এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় চলছিল অরাজকতা, গুন্ডারাজ। রাস্তার নিরীহ মানুষদেরও হাতের সামনে পেয়ে বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় আরও দৌরাত্ম্য দেখাতে শুরু করে নেতাজি পল্লীর লুম্পেনরা। প্রীতম বর্ধনের অপরাধ ছিল সে নিরীহ মানুষদের ওপরে হামলা না করতে অনুরোধ করে। তাঁকে প্রতিবাদী মনে হওয়ায় প্রীতমের ওপরে রড ও বাঁশ হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীর দল। রাস্তার ওপরে চেতনা হারিয়ে রক্তাপ্লুত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে প্রীতম।সৌভাগ্যক্রমে এই ঘটনার সামান্য সময় পরে প্রবাল গোস্বামী নামে এক সিনিয়র রিপোর্টার প্রীতমকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে আসেন।প্রীতমের মাথায় ৬ টি সেলাই পড়ে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও একাধিক আহত মানুষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বাভাবিকভাবেই বারাসাতে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। বারাসাতের নেতাজি পল্লী, দ্বিজহরিদাস কলোনি এরকম বেশকিছু অঞ্চলে রাত বাড়লেই চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মহিলারা এসব জায়গায় রাতে চলাচল করেন না। পথ চলতি নিরীহ মানুষদের ওপরে আক্রমণ যেন গা-সওয়া হয়ে উঠেছে প্রশাসনের। নইলে মদ্যপরা আক্রমণ, চুরি ছিনতাই, এমনকি খুন করতেও পিছপা নয়। বারাসাতের নপাড়ায় এক বয়স্কা মহিলা নেশাশক্তদের চুরি আটকাতে গিয়ে খুন হয়েছেন গতমাসেই।প্রশাসনের ঘুম ভাঙছে না।।
More Stories
RG Kar Protest Kumortuli: ‘আমার দুর্গা’-র বিচারের দাবিতে রাজপথে কুমারটুলির মৃৎশিল্পীরা, কতটা পথ পেরোলে বিচার পাওয়া যাবে, জানতে চান হাতে টানা রিক্সাচালকেরা
১৩ মাসের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের রায় :মাটিগাড়ায় ধর্ষণ-খুনের সাজা ফাঁসি, নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি আদালত
সুভাষ বসুকে খুনের সাজা ঘোষণা