Home » বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক বিতর্কের মাঝেই বদলে গেল রাজভবনের নর্থ গেটের নাম

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক বিতর্কের মাঝেই বদলে গেল রাজভবনের নর্থ গেটের নাম

সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৮ অক্টোবরঃ রাজভবন নিয়ে নয়া পদক্ষেপ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কবিগুরুর প্রতি সম্মান জানাতে কলকাতায় রাজভবনের নর্থ গেটের নামও বদলে ফেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, রাজভবনের নর্থ গেটের নতুন নাম হবে ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট’ হবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ফলক বিতর্কে মাঝেই এবার বিতর্কিত ফলক বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ফলক বিতর্কের আবহেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। সেই জায়গায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিশ্বভারতীর সমস্যা কাটাতে শিক্ষামন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি।                       

আরও পড়ুন      বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্বে দুই ইংরেজ আম্পায়ার, একজন ভারতের জন্য আনলাকি  

এরই মধ্যে বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল শিক্ষামন্ত্রক। শিক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট স্থির করে দেওয়া হবে এবং সেই ফরম্যাটেই নতুন ফলক তৈরি করতে হবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আট জনের একটি কমিটি গঠন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন বিভাগীয় প্রধান ও দু’জন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। ফলকে যে লেখা থাকবে, সেটি বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি এই তিন ভাষাতেই লেখা থাকতে হবে। এর আগে গত সপ্তাহেই বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল শান্তিনিকেতন থানায়। বেআইনি কাজ করার অভিযোগে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

 

উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ,মূল আশ্রম প্রাঙ্গন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে বিশ্বভারতী এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। সবমিলিয়ে ১৫ দশমিক ৩ একর জায়গা, যার খতিয়ান নম্বর ১১২২৭। ট্রাস্টের বক্তব্য, তাঁদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ এবং অনুমতি না নিয়েই শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গার ফলক বসায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের থানায় অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেই ইউনেস্কো থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী। এরপরই সেখানে বিশ্বভারতীর আচার্য, অর্থাৎ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম দিয়ে ফলক বসানো হয়। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী থেকে শুরু করে আশ্রমিকরা। আর সেই ফলকে নেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম! বিতর্ক অবস্থান প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে শান্তিনিকেতনে। অভিযোগও জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীকেও। ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় প্রতিবাদে শান্তিনিকেতনের কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ বাঁধে অবস্থান শুরু করেছে তৃণমূল।

About Post Author