সময় কলকাতা ডেস্ক: স্বপন ভৌমিক (মাজদিয়া)শীত মানেই হালকা কাঁপুনি আর লেপের তলায় আরাম করে শোয়া। শীত মানেই ঘন কুয়াশায় ভোরে চায়ের দোকানে বসে এক কাপ গরম চা খাওয়া। শীত মানেই একটা উৎসবের আমেজ। আর অবশ্যই শীত মানে খেজুর গুড়ের পিঠে পুলি খাওয়া। এমনিতেই বঙ্গের পিঠেপুলি বিখ্যাত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে। আর পিঠে পুলির জন্য চাই খেজুর গুড়। বঙ্গের বিখ্যাত খেজুর গুড়ের হাট হলো শিয়ালদহ গেদে রেলপথে অবস্থিত মাজদিয়ায়।
এই মাজদিয়া রেলস্টেশন খুবই প্রাচীন, এক সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা দার্জিলিং মেল এই রেলপথ দিয়ে যেত। এই মাজদিয়া রেলস্টেশন থেকেই প্রতি বুধবার রবিবারের হাটে বেচাকেনার পর রেলের বড় বড় কামরা বোঝাই হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে যেত। এখন রেলের পাশাপাশি সড়কপথেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায় এই খেজুরের গুড়। মাজদিয়া তিন নদীর সংযোগস্থল, মাথাভাঙ্গা, চূর্ণী ও ইছামতি। যদিও বিবর্তনের চক্রব্যূহে পড়ে, চূর্ণী, মাথাভাঙ্গা , ইছামতি তাদের নব্যতা হারিয়েছে। একটা সময় এই চূর্ণী নদীর নদীপথ ধরে কলকাতার বাগবাজার, শোভাবাজার ,শেওড়াফুলি ঘাটে পৌছাতো বড় বড় নৌকা বোঝাই মাজদিয়ার খেজুরের গুড়। সেসব আজ অতীত। তবুও বিশ্ব বাংলার স্টলে মাজদিয়ার ভাজনঘাটে উৎপাদিত খেজুরের গুড় আজও বিক্রি হয়।
ইদানিং খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে ক্রমশ ,তার কারণ গাছ কাটার মানুষ পাওয়া যায় না। তাই খেজুর গাছ কেটে এখন আমবাগান কাঠালবাগান ও লিচু বাগান তৈরি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখনো কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সহজ চারটি থানা এলাকার খেজুর গুড়ের চাষিরা মাজদিয়ায় আসেন খেজুর গুড় বিক্রি করতে। খেজুরের গুড় রাখার জন্য প্রয়োজন হাঁড়ির, যাকে ডাবড়িও বলা হয়। খেজুর গুড়ের হাঁড়ি তৈরি করেন এখানকার পাল সম্প্রদায়ের মানুষজন। শীতের সময়ে তাদের ও কিছুটা রোজগার বাড়ে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে খেজুর গুড়ের একটা প্রভাব রয়েছে। শীতের বাংলায় খেজুর গুড় ছাড়া বাঙালি নৈব নৈব চ।
More Stories
Repo Rate Unchangedঃ ফের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, বাড়ি-গাড়ি ঋণে গুনতে হবে না বাড়তি সুদ
আমুলের পর এবার দুধের দাম বাড়াল মাদার ডেয়ারি, জানুন নতুন রেট
LPG Cylinder: একধাক্কায় অনেকটাই দাম কমল ১৯ কেজির বাণিজ্যিক গ্যাসের, জানুন কলকাতায় নতুন দাম কত