Home » পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই, সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই, সরাসরি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

সময় কলকাতা ডেস্ক:করোনার ঢেউ লাগাতার আছড়ে পড়ছে দেশে। ঢেউয়ের ব্যাপ্তি প্রতিমুহূর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত গোটা দেশ। প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ওঠার আগেই তৃতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন, করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে।

এমত অবস্থায় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।উত্তরপ্রদেশে ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরপ্রদেশ বাদে একমাত্র মণিপুরে একাধিক দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মণিপুরের ৬০টি আসনে দুই দফায় ভোট হবে। তাছাড়া উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও পঞ্জাবে এক দফাতেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১০ ফেব্রুয়ারী। উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী। উত্তরপ্রদেশে তৃতীয় দফার নির্বাচন হবে ২০ ফেব্রুয়ারী। উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারী। পঞ্চম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ফেব্রুয়ারী। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩ মার্চ। উত্তরপ্রদেশে সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ মার্চ। ফেব্রুয়ারী মাসে ভোট শুরু হয় মার্চ মাসেই গণনা শেষ হবে।

উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া ,হিমাচল প্রদেশ, মনিপুর এই পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে করণা পরিস্থিতিতে কমিশন উদ্বিগ্ন। প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করা নিয়ে, কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ একাধিক আঞ্চলিক দল কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে। অবিবেচকের মত দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কে কেন্দ্র করে কমিশনকে একহাত নিয়েছিল বহু রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কমিশনকে একাধিকবার তীব্র সমালোচনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। করোনার সংক্রমণ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য কমিশনকে দায়ী করে ছিল বহু মানুষ। সেই কারণে এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই কমিশন এখন সতর্ক।

করণা বিধি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মিটিং মিছিলে 15 জানুয়ারি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোটের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে একথা বলে কমিশনকে যেন দায়ী করা না হয়, আর সেই কারণেই কমিশনের এই কড়া সিদ্ধান্ত। কমিশনের এই ঘোষণার পরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করোনার কথা মাথায় রেখে, সামাজিক প্রচার মাধ্যম এবং ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দিয়েছে।

About Post Author