Home » পরিত্যক্ত জায়গা থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

পরিত্যক্ত জায়গা থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

সময় কলকাতা ডেস্ক:নোনাডাঙার এক পরিত্যক্ত এলাকা থেকে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য।আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙ্গায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় রবিবার সকালে রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর বছর তিরিশের মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ জানা।

আশেপাশে প্রচুর লোহার বিম পড়ে থাকা এমন একটি পরিত্যক্ত জায়গায় সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াত নেই। এদিন সেখান থেকেই রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। আনন্দপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর মৃতদেহের গলায় মাথার পেছনে এবং শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মৃতের মাথার পেছনে আঘাতের গভীর ক্ষত মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কোন ভারী বস্তু দিয়ে মাথার পেছনে মারা হয়েছে। এছাড়াও মৃতদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে তার পাশে কিছু বড়োসড়ো ইটের টুকরো এবং ভাঙা মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। সম্ভবত ওই ভাঙা মদের বোতল দিয়ে তাকে কোপানো হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বহুদিনের। মদের কালোবাজারি থেকে শুরু করে মদের আড্ডায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। একাধিকবার পুলিশের অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। এদিন সরেজমিনে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট ডিভিশন) গৌরব লাল।

মৃত বিশ্বজিৎ জানার বাবার দাবি, গতকাল রাত দশটা নাগাদ পাড়ার একটি দোকান থেকে সিগারেট কিনে বেরিয়ে যায় ছেলে। তারপর আর রাতে বাড়ি ফেরেনি সে। যেখান থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই এলাকায় সাধারণত বিশ্বজিতের যাতায়াত ছিল না বলেই দাবি পরিবারের। সুতরাং তাকে কেউ বা কারা সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ওই পরিতক্ত স্থানে কোন মদের বা জুয়ার আসর বসেছিল কিনা সে বিষয়েও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বিশ্বজিতের  কারোর সঙ্গে ব্যক্তিগত কোন রেষারেষি ছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।

About Post Author