সময় কলকাতা ডেস্ক:(স্বপন ভৌমিক ,মাজদিয়া) নদিয়া জেলার ঊনষাট নম্বর মাজদিয়া মৌজা থেকে ইছামতী নদীর সৃষ্টি ।বাংলাদেশ থেকে আসা মাথাভাঙা নদী, দু ভাগ হয়ে একটি হয়েছে চূর্ণী অপরটির নাম ইছামতী নদী।এই নদী বর্তমানে জলশূন্য ।ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার এই নদীর উৎস মুখ কাটার দাবি উঠেছিল, কিন্তু রাজ্য সরকারের অর্থ নেই ।তার ওপরে আছে এই নদীর আন্তর্জাতিক সীমানা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে অনেকখানি । বর্ষার সময় যখন জল থাকে এই নদীতে ,তখন স্থানীয় জেলে মালোরা দু ধারে বাঁধাল দিয়ে নদী আটকে মাছ ধরে। এর ফলে নদীর জলসীমানা বাধাপ্রাপ্ত হয় ,রিভার বেড উঁচু হয়ে যায়। দুধারের পলি জমা হতে থাকে ,তার ফলে নদী শুকিয়ে যায় ।
স্রোতস্বিনী নদী স্রোতধারা ভরা বর্ষায় কুলুকুলু করে বান ডাকে ,তখন নদী থাকে বিশাল দৈত্যের মতো। নদী পাড়ে গেলে ভয়ে গা ছমছম করে ।নদীর তীরে পাখির কলকাকলি কমে গিয়েছে অনেক ,তবু আছে তিতির, শালিক ,গাঙ শালিক, বউ কথা কও ,বক ,শামুক খোল ইত্যাদি ।মাঝেমধ্যে নিস্তরঙ্গ নদীর পাড়ে ঘুঘুর ডাক শোনা যায় ।নদীর জলে কচুরিপানা ভর্তি হয়ে থাকে ।
নদিয়া থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা পর্যন্ত বিশাল ইছামতী নদীর এখন উৎসমুখের কার্যত মৃত্যুর দশা।
নদিয়া জেলার অন্যতম দুটি প্রধান নদী মাথাভাঙা ও চূর্ণী আজ দূষণের কবলে । বিগত ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ছাড়া দূষিত জলে এই দুটি নদী ভয়াবহ ভাবে দূষিত হয়ে আসছে ।এর প্রতিকারের জন্য গঠিত হয়েছে মাথাভাঙা ও চূর্ণী নদী বাঁচাও কমিটি
এই কমিটি ।দীর্ঘদিন ধরেই নদীপারের সমস্ত মানুষকে সংঘটিত করে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন ।এর মধ্যে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করা হয়েছে ,যার রায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিচারপতি জানিয়েছেন ভারত সরকার অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
এদিকে নদী জুড়ে বাঁধাল , কমোড ইত্যাদি যা নদীপারের মানুষ দিয়েছেন, সেগুলো তুলে নেওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। মাথাভাঙ্গা চূর্ণী নদী বাঁচাও কমিটি সহযোগিতা করছেন । বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে ভারত সরকারকে জানিয়েছেন।
More Stories
RG Kar Incident: মহালয়ার দিন অভয়ার বাড়িতে সিবিআই, কেন?
Banshdroni Accident: মহালয়ায় মহানগরীতে পথ দুর্ঘটনা বাঁশদ্রোণীতে জেসিবির চাকায় পিষ্ট ছাত্র
Flood Relief: বন্যার ক্ষতিপূরণে রাজ্যের জন্য ৪৬৮ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রের, অনুদানেও বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যের