সময় কলকাতা ডেস্ক: মালদার বামনগোলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর কফিনবন্দি দেহ উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল। মৃত বিএসএফ জওয়ানের নাম বিবেক তেওয়ারি (২৯)।
সোমবারের এই ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে বামনগোলা থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। যদিও ওই জওয়ানের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১৫৯ ব্যাটালিয়ানের বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার হাড়িয়া নদীতে ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বামনগোলা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও বিএসএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন কাঁটাতারের ওপারে হবিবপুর, বামনগোলা জুড়ে জোরকদমে বাংলাদেশের পাচারকারীরা গরু পাচার এর চেষ্টা চালায়। গত শুক্রবার ওই এলাকার হবিবপুরের ১৫৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের গুলিতে এক বাংলাদেশী পাচারকারী মৃত্যু হয়। ঠিক তারপরের দিন সোমবার বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদীতে এক বিএসএফ জওয়ান বিবেক তেওয়ারির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ এবং বিএসএফের প্রাথমিক অনুমান, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের পাচারকারীরা চোরাপথে গরু পাচারের সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পাল্টা বিএসএফ গুলি চালালে এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়। বিএসএফের অনুমান, সীমান্তবর্তী এলাকায় ওই বিএসএফ জওয়ান গরু পাচারের বাধা দেওয়ায় পাচারকারীরাই ওই জওয়ানকে মেরে নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে। ওই জওয়ানের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে সামরিক সন্মান জানানোর পর ওই জওয়ানের কফিনবন্দী দেহ তার বাড়ি উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
More Stories
অবৈধ ভাবে এসে নদিয়ায় গা ঢাকা! বাংলাদেশ ফেরার পথে দালাল-সহ ধৃত দুই অনুপ্রবেশকারী
নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে, নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের
দাড়ি গোঁফ কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না, ডোমকলে পুলিশের উপর হামলায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত