সময় কলকাতা ডেস্ক :বাইশ গজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের শাসনের কথা উঠলেই শচীন তেন্ডুলকারের পাশাপাশি সবার আগে যাঁর নাম সবার আগে উঠে আসবে তিনি হলেন রাহুল দ্রাবিড়। ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত।মাঠে ও মাঠের বাইরে আপাদমস্তক ভদ্রলোক হিসেবেই পরিচিত রাহুল দ্রাবিড়।বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে তিনি নম্র আগ্রাসনের প্রতীক।উনপঞ্চাশে পা দেওয়া রাহুল দ্রাবিড় কে সময় কলকাতার তরফে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য খেলার প্রতিবেদনে।
জমাট টেকনিক দিয়ে ব্যাটিং ক্রিজে বোলারদের জন্য প্রাচীর তুলে দেওয়ায় “দ্যা ওয়াল”আখ্যা দেওয়া হয়ে এসেছে রাহুল দ্রাবিড়কে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের করা সর্বকালের বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় স্বচ্ছন্দে ঢুকে পড়েছেন তিনি।পরবর্তীতে কোচ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা হয়েছে প্রশংসিত। তিনি উদীয়মান খেলোয়াড়দের দেখিয়েছেন প্রতিষ্ঠার পথ।
ব্যাটসম্যান বা কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও তার ক্রিকেটবোধ ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে অজানা নয়।অজানা তাঁর ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন দিক।টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে ঘিরে কিছু জানা-অজানা তথ্য তুলে ধরতে তাঁর জন্মদিনে এই প্রতিবেদন।
দ্রাবিড়িয় সভ্যতার জনকের পড়ার বইয়ে ডুবে থাকার অভ্যেস তাঁকে করেছে স্বতন্ত্র। পাশাপাশি,পড়ার বইয়ের বাইরের জ্ঞান সংগ্রহ করায় তাঁর তুলনা মেলা ভার।খেলার সময়ে কঠোর মনোনিবেশ তাঁর রক্তে থাকলেও অবসরকে নিছক সময় কাটানোর মধ্যে বেঁধে রাখেন নি তিনি। একটা ছোট উদাহরণ দিলেই বিষয়টি প্রাঞ্জল হবে।ভারতের পাকিস্তান সফরের মাঝে ছুটি পেতে সবাই যখন শপিং করতে ব্যস্ত তখন রাহুল দ্রাবিড় সতীর্থ মুরলী কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে হরপ্পা মহেঞ্জোদরোর প্রাচীন নিদর্শন দেখতে ছুটছেন।রাহুল দ্রাবিড় বিরল এক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
বিজনেস ম্যানেজমেন্টের এক সফল ছাত্র রাহুল দ্রাবিড় সম্পর্কে অজানা তথ্য ভুরিভুরি। তিনি শিক্ষিত, তিনি বিনম্র। এরই মধ্যে ২০০৪ এক ক্রীড়া সমীক্ষায় তিনি অনুরাগীদের মধ্যে সেক্সি ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান পান সনিয়া মির্জা ও যুবরাজ সিংহের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে।
হকির মধ্যে দিয়েই দ্রাবিড় খেলার জগতে পা রাখেন। জুনিয়র কর্ণাটক হকি দলে স্থান পেয়েছিলেন তিনি।পরবর্তীতে হকি ছেড়ে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন মারাঠা বংশোদ্ভুত রাহুল দ্রাবিড়। বাবা জ্যাম প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন আর তাই সতীর্থ ক্রিকেটাররা তাঁকে জ্যামি বলতেন।
একথা অনেকেরই অজানা যে রাহুল দ্রাবিড় ২০০৩ সালে স্কটল্যান্ড দলের হয়ে এগারোটি ম্যাচ খেলেছিলেন, করেছেন শতরানও।
জমাট রক্ষনের জন্য এবং একের পর এক ক্রিকেটিয় নজীর গড়া রাহুল দ্রাবিড় তাঁর ক্রীড়া দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর সৌজন্যবোধের জন্যও ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে চিরস্থায়ী আসন পেয়েছেন।
একনজরে রাহুল দ্রাবিড় ও তাঁর ক্রিকেট পরিসংখ্যান :
জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৭৩ (বয়স ৪৮) ইন্দোর মধ্যপ্রদেশ, ভারত
টেস্ট অভিষেক ২০ জুন ১৯৯৬ বনাম ইংল্যান্ড।
শেষ টেস্ট২৪ জানুয়ারি ২০১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
টেস্টে ম্যাচ সংখ্যা -১৬৪ ,মোট রান- ১৩,২৮৮ । সর্বোচ্চ রান – ২৭০ । সেঞ্চুরি – ৩৬ , হাফ সেঞ্চুরি – ৬৩
এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ৩ এপ্রিল ১৯৯৬ বনাম শ্রীলংকা।
শেষ এক দিবসীয় ম্যাচ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড।
একদিনের ক্রিকেটে ম্যাচ সংখ্যা -৩৪৪, মোট রান- ১০,৮৮৯ । সর্বোচ্চ রান – ১৫৩ । সেঞ্চুরি -১২ , হাফ সেঞ্চুরি – ৮৩
More Stories
FIFPRO WORLD XI: বর্ষসেরা বিশ্ব একাদশে সিটি ও মাদ্রিদের ফুটবলারদের প্রাধান্য, বাদ মেসি-রোনাল্ডো
Ben Curran: ভাই এক দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন, দাদা খেলার সুযোগ পেলেন অন্য দেশে
কেশব মহারাজ কি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা স্পিনার?