সময় কলকাতা ডেস্ক :
১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের কথা কথা।নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শেল ট্রফির ম্যাচ চলছে। খেলা ওয়েলিংটন আর ক্যান্টরবেরির মধ্যে । রীতিমত প্রতিযোগিতামুলক ম্যাচ।ওয়েলিংটনের ২৯০ রানকে তাড়া করতে গিয়ে বেকায়দায় ক্যান্টরবেরি।খেলা শেষ হওয়ার দু ওভার বাকি থাকতে আট উইকেট খুইয়ে ১৯৬ স্কোর হওয়ায় জয় কার্যত নিশ্চিত দেখেই ওয়েলিংটনের দলনায়ক এরউইন ম্যাকসুইনি বল করতে ডাকেন বার্ট ভান্সকে।পার্টটাইম অফস্পিন বোলার হিসেবে বার্ট ভান্সকে ব্যবহার করতে গিয়েই ঘটে বিপর্যয়। তৈরি হয় ইতিহাস। বার্ট ভান্স এক ওভারে ৭৭ রান দিয়ে বসেন।
এই কীর্তির সাথে জড়িয়ে থাকা বার্ট ভান্স বা রবার্ট ভান্স ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।ক্রিকেট পরিবার থেকে উঠে আসা বার্ট ভান্সের জন্ম ১৯৫৫ সালে। নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে তিনি চারটি টেস্ট ও আটটি একদিবসীয় ম্যাচ খেলেছেন।৮৮ – ৮৯ সালে তিনি এই বারোটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।টেস্ট ও একদিনের খেলায় একটি করে অর্ধশতরান আছে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তাঁর রয়েছে বারোটি শতরান। ঈর্ষণীয় না হোক, ফ্যালনা নয় তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার। কিন্তু তিনি ছিলেন নিখাদ ব্যাটসম্যান।তিনি আদৌ কোনো বোলার ছিলেন না।বোলার হিসেবে সর্বস্তরের খেলায় সারাজীবনে উইকেট পেয়েছেন চারটি। ক্যাপ্টেন ম্যাকসুইনি তাঁকে গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে বল করতে ডেকেছিলেন তা আপাত দৃষ্টিতে মতিভ্রম মনে হতে পারে। কিন্তু এও ভাবার যে তখন দু ওভারে ৯৫ রান বাকি ছিল। অঙ্কের হিসেবে দু ওভারে বারো বলে বড়জোড় ৭২ রান হতে পারত ভেবেই ভান্স কে বল করতে ডাকা হয়েছিল।
ভান্স ৬ বলে ওভার শেষ করতে পারেন নি। একের পর এক নো-বল করেন তিনি।১৯ টি বল করে ৭৭ রান খরচ করেন তিনি। আম্পায়ার হিসেব গুলিয়ে ফেলায় পাঁচটি বৈধ বলে ওভার শেষ হয় তাঁর। লি জরমন এই ওভারে পাঁচটি চার ও আটটি ছয় হাঁকান। শেষ ওভারে ১৭ হয়ে ম্যাচটি কার্যত টাই হয়ে যায়। ম্যাচে যাই হোক, শেল ট্রফির এই ম্যাচ ভান্সের জন্য ঠাঁই পেয়ে যায় ইতিহাসের খাতায়।
রেকর্ড হয় ভাঙবে বলেই তথাপি রবার্ট ভান্সের রেকর্ড গত ৩২ বছর ধরে অক্ষত।।আন্তর্জাতিক তারকা ভান্সের বোলিংয়ে হওয়া এক আশ্চর্য রেকর্ড আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বিস্ময়।
More Stories
১০ জন নিয়েও বড় জয় স্পেনের, ৪-১ গোলে চুরমার করল সুইজারল্যান্ডকে
মিশন বাংলাদেশ : শক্তিশালী দল নামাচ্ছে ভারত ,ফিরলেন ঋষভ, দলে বিরাট -বুমরা
Duleep Trophy: দলীপ ট্রফিতে জয় ঋতুরাজ ও শ্রেয়সের দলের, ব্যার্থ যশস্বী-শুভমানেরা