Home » সময় হলেই বোমা কোথায় ফাটাব দেখতে পাবেন, প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শান্তনু ঠাকুরের

সময় হলেই বোমা কোথায় ফাটাব দেখতে পাবেন, প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শান্তনু ঠাকুরের

 

সময় কলকাতা ডেস্ক: বোমা ফাটাতে হলে বিজেপি দল ছাড়তে হবে না । বোমা ফাটানোর অনেক উপায় আছে। “বোমা কোথায় ফাটাব তা সময় হলেই দেখতে হবেন,” অগ্নিবর্ষণ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের।” বিদ্রোহী” নেতা ও বিধায়কদের পাশে নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ঘোষিত নবগঠিত কমিটি গঠনপ্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এবার সরাসরি মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

শনিবার নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করার কথা বলে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন,নব্বই শতাংশ আনকোরা লোককে নিয়ে গড়া কমিটিতে ঠাঁই পান নি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের নেতারা । উপেক্ষা করা হয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়কেও। নাম না করে জনৈক বিজেপি নেতাকে খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে সেই অপপ্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেই বিজেপিকে শক্তিশালী করার বার্তা তাঁর।দলের অভ্যন্তরের বিদ্রোহকে প্রকাশ্য রূপ দিয়ে রীতিমত বেসুরো ‘বিদ্রোহী’ নেতা শান্তনু ঠাকুর।

বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রীয় সরকারের বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। সেই মন্ত্রকের অধীনে থাকা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসেই দলের শনিবার বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শান্তনু ঠাকুর।সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু থেকে সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের মত নেতারা। এরা সকলেই বিজেপি-র সদ্য ঘোষিত রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। এ ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, তুষার মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র । রাজ্যের দুই বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং অশোক কীর্তনীয়াও যোগ দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধদের বৈঠকে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শান্তনু জানান,জনৈক বিজেপি নেতার দলে প্রভাব  না থাকলেও উক্ত নেতা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অশুভ খেলায় মেতেছেন।

উল্লেখ্য,রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলে কোন্দল শুরু হয়ে যায়। বিজেপি-র মতো ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ দলে এটা বেনজির বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, দলে রদবদ‌ল অতীতেও হয়েছে। কিন্তু এই ভাবে রাজ্য স্তরের নেতারা প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখাননি। প্রথমেই দলের একাধিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান সায়ন্তন। এর পর তা যেন সংক্রমণের চেহারা নেয়।আর শান্তনু ঠাকুর যেন এই বিদ্রোহের মুখ হয়ে উঠেছেন।

শান্তনু ঠাকুর পরিষ্কার করে দিয়েছেন জনৈক নেতার কর্মকান্ড দলের পক্ষে অশনিসংকেত ।তাঁর অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে ‘অভিযুক্ত’ নেতার রয়েছে সম্ভাব্য গোপন আঁতাত।শান্তনু ঠাকুর উল্লিখিত ‘জনৈক নেতা’কে তা  খোলসা না করলেও দলের ভেতরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে,বিজেপি রাজ্য সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিদ্রোহী বিজেপি শিবির। বিক্ষুব্ধ অংশের দাবী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দিয়ে অনুমোদন করানো নবগঠিত কমিটি অমিতাভ চক্রবর্তীর মস্তিস্ক প্রসূত। ইতিমধ্যেই বনগাঁ লোক্যাল ট্রেনে অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ চেয়ে পড়েছে ‘কুরুচিকর’ পোস্টার। সবমিলিয়ে নবগঠিত কমিটি ঘিরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ,দ্বন্দ্ব আর সামগ্রিক ভাবে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত রাজ্য বিজেপি কার্যতই দিশেহারা শান্তনু ঠাকুর সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ওঠায়।।

About Post Author