Home » উত্তরপ্রদেশে মমতা গিয়ে কি করবেন?ওখানে বিজেপিই ক্ষমতায় থাকবে, কটাক্ষ দিলীপের

উত্তরপ্রদেশে মমতা গিয়ে কি করবেন?ওখানে বিজেপিই ক্ষমতায় থাকবে, কটাক্ষ দিলীপের

প্রাতঃভ্রমণেও এসে ফের তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।এবার ইস্যু উত্তরপ্রদেশ ।বিজেপি বিরোধী শক্তিকে জোরদার করতে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।আর তাতেই চটেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। মঙ্গলবার, ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরপ্রদেশ সফরের ইচ্ছাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করে কিচ্ছু হবেনা। সেখানে বিজেপিই ফের ক্ষমতায় আসবে।

উত্তরপ্রদেশ, গোয়া সহ ৫ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।জাঁকিয়ে শীতের মাঝেই উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার গোয়া সফরে যেতে দেখা গেছে।গোবলয়ের বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক কাট্টা করতে ইতিমধ্যেই, উত্তরপ্রদেশের প্রধান  বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব সে রাজ্যের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছেন।ফলে অখিলেশ যাদব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা বৈঠকের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এই নিয়েই দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন, তিনি কিভাবে সমাজবাদী দল কে সাহায্যে করবেন? ২০১৯ সালে ময়দানের মহাগাটবন্ধনের পরেও সারাদেশে মোদী ম্যাজিক কাজ করেছে। লোকসভা ভোটের সেই ফলাফলের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, সেই সময়ও বিরোধীরা অনেক বৈঠক করেছিলেন। তা সত্বেও, পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি এবং সারা দেশে ৩০৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এদিন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তার গোয়া সফরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাজ্যে যেভাবে মারকাট শুরু হয়েছে তাতে তার মন খারাপ, সুতরাং একটু গোয়া ঘুরে এলে মনটা বেশ চনমনে হয়ে যাবে তার।

রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকার সঠিকভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেনি।তিনি বলেন, ভোট লুট করার জন্য,ভোটের কথা মাথায় রেখে উদাসীন ভাবে রাজ্য সরকার দোকানপাট খুলে দিচ্ছে।তবে, মাঝে মাঝে, কেন্দ্র থেকে চাপ আসার কারনে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কখন কখন দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আবার পরক্ষনেই সব খুলে দেওয়া হচ্ছে।তিনি অভিযোগ করেন, সব ভোটের রাজনীতি হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে, উত্তরপ্রদেশে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছে রাজ্যে সরকার। কিন্তু যেখানে এরাজ্যে সত্যিই হু হু করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে নির্বাচন করাচ্ছে রাজ্য সরকার।

About Post Author