সময় কলকাতা ডেস্কঃ তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম-এর সদস্যরা এক জোট হয়ে অপসারিত করলো বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে। সোমবার মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তলবি সভায় ১৩ জন সদস্য এই অপসারন প্রক্রিয়ায় সমর্থন জানালো । সুত্রের খবর, মালদার মানিকচকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও উপপ্রধানকে সরানোর পর পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখবে তৃণমূল । ১৯ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে ২০১৮ এর নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করে । প্রধান হন বিজেপি সদস্য মিলন মন্ডল ও উপপ্রধান উত্তম কর্মকার ।
সোমবার পঞ্চায়েত ভবন প্রাঙ্গণে বিজেপি প্রধান ও উপপ্রধান এর বিরুদ্ধে অনাস্থার তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয় । যাকে ঘিরে মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পালের নেতৃত্বে গোটা এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী । শান্তিপূর্ণ ভাবে ও নির্বিঘ্নে তলবি সভা সম্পন্ন করতে তৎপর ছিল পুলিশ সহ প্রশাসনিক কর্তারা । মানিকচক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে অপসারণের পক্ষে সম্মতি দেন ১৩ জন পঞ্চায়েতের সদস্য ।
এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলের সাথে হাত মিলিয়ে অপসারণ সফল হয়েছে বলেই দাবি বিজেপি সদস্য সুশীল মন্ডলের । তিনি বলেন, এলাকার মানুষের জন্য কোন কাজে করতে পারছিলেন না তাই তৃণমূলের সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রধান ও উপপ্রধান এর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তাঁরা । তবে আগামী দিনে কার দখলে থাকবে পঞ্চায়েত তা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানান হয়নি । ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক তথা তলবি সভার প্রিসাইডিং অফিসার অনুপম চক্রবর্তী জানান, “পঞ্চায়েত আইনে যে সমস্ত নিয়ম রয়েছে তা মেনেই আজ থেকে প্রধান উপপ্রধান অপসারিত হল ।পরবর্তীতে প্রশাসনিক নিয়ম অনুসারে নতুন করে প্রধান নির্বাচন করা হবে । “
More Stories
গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ! ২ দুষ্কৃতীর খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা
‘স্বাধীনতার অপমান’, মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তারের দাবি রাহুলের!
আবার ফিরবে কী দক্ষিণরায়? বাঘ জঙ্গলে ফিরলেও আতঙ্ক কাটছে না মৈপীঠবাসীর