সময় কলকাতা, অমলেন্দু মন্ডল: করোনা আবহে মানুষ প্রথম পরিচিত হয় লকডাউন শব্দটির সঙ্গে। প্রথম লকডাউন হওয়ার সময় বহু সমাজসেবী সংস্থা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে,এমনকি পশুদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করেছে।
গত বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় ফের লকডাউনের মুখোমুখি হয় সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ খুঁজে নেয় তাদের বেঁচে থাকার উপায়। পাশাপাশি সরকারী সাহায্যের পরিমানও বেড়ে যায়।কিন্তু আর কতদিন এই হাল টানা যায়? শেষ পর্যন্ত সমাজসেবীরাও দীর্ঘদিন লকডাউন চলার কারণে হাল ছাড়তে বাধ্য হয়, কিন্তু তার মধ্যেও কিছু সমাজসেবী সংস্থা তাদের সামান্য সামর্থ নিয়ে এখনো মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু আবারও করোনার হানা, মারণ ভাইরাসের দাপটে তৃতীয় ঢেউ-এ ফের শুরু হয়েছে সাময়িক লকডাউন। ফলে সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে রাস্তার সারমেয়রা। আগে অনেকেই তাদের আহারের ব্যবস্থা করলেও এবারের লকডাউনে তাদের একবেলার আহারও জুটছে না, এদের কথা মাথায় রেখেই রামপুরহাট থানার আই সি ত্রিদিব প্রামানিকের নেতৃত্বে রাস্তার সারমেয়দের রাতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
সোমবার সন্ধে থেকে পুলিশের গাড়িতে স্বয়ং পুলিশকর্মীরা নিজে গিয়ে রামপুরহাট শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মাংস দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে তা খাওয়াচ্ছেন রাস্তার সারমেয়দের। রামপুরহাট থানার পুলিশকর্মীরা জানান, ‘এখন বেশিরভাগ কুকুরের ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাদের না খাওয়ালে তারা খিদের জ্বালায় রাতে কান্না কাটি করে, সেই কান্না পৌঁছেছে পুলিশকর্মীদের কানে, কারণ সারারাত ধরে পুলিশরাই অতন্দ্র প্রহরায় থাকেন সারা শহর জুড়ে, সে কারণেই পুলিশের এই উদ্যোগ।’ রামপুরহাট থানা তথা রামপুরহাট আই সি ত্রিদিব প্রামানিকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের মানুষ।
আই সি ত্রিদিব প্রামানিক জানান, ‘যতটা পারবো সাধ্য মতো করবো, গত বছর টানা দুমাস প্রতিদিন, ৩০০ লোকের খাবার আয়োজন করেছিল রামপুরহাট থানার পুলিশ। এবার সারমেয়দের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
More Stories
গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ! ২ দুষ্কৃতীর খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা
আবার ফিরবে কী দক্ষিণরায়? বাঘ জঙ্গলে ফিরলেও আতঙ্ক কাটছে না মৈপীঠবাসীর
বড় সাফল্য বর্ধমান জেলা পুলিশের, উদ্ধার ৭২ কেজি গাঁজা!