Home » শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তোলা শুরু, কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের

শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল তোলা শুরু, কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের

সময় কলকাতা ডেস্কঃ বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়ার মাঝেই বাধা পশ্চিমি ঝঞ্ঝা।অকাল বৃষ্টির আশঙ্কায় ভয়ে দিন গুনছেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকেরা।ইতিমধ্যেই জমি থেকে ফসল তুলতে শুরু করেছেন তারা। সময়ের আগেই রবিশস্য তুলে ফেলায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা ।

হাওয়া দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছিল ১০ জানুয়ারি থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনার কথা।ইতিমধ্যেই হাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামি ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। শীতের মাঝেই হতে পারে রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাত। উত্তরবঙ্গ সহ বঙ্গের বেশ কিছু স্থানে হতে পারে শিলাবর্ষণও।

এই শিলাবর্ষণের আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের। এই শীতের সময় এই মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখা হাড়োয়া হাসনাবাদ বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর সহ দশটি ব্লকের চাষিরা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নতুন আলু, গাজর, বিনস, কাঁচালঙ্কা, বরবটি, বেগুন প্রভৃতি সব্জি চাষ করতে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু শিলাবারির আশঙ্কায়, সময়ের আগেই এখন তারা সেই ফসল তুলতে ব্যস্ত।
শিলাবৃষ্টি হলে জমির ফসলে পচন ধরার সম্ভবনা থাকে। কারণ বর্ষার ফলে বৃষ্টির জল জমিতে ঢুকে ফসলের গোড়ায় জমে যায়। ফলে, সূর্যের আলো উঠলে, সেই জলের জেরে ফসলে পচন ধরবে। এই চিন্তায় কপালে ভাঁজ ফেলছে এই এলাকার কৃষকদের।

এক কৃষকের কথায়, “প্রকৃতির খামখেয়ালী কৃষকদের বাস্তুতন্ত্রের উপর আঘাত আনছে। যার ফলে ঠিকমতো সব্জি ও ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বারবার নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। তার উপর সঠিক ভাবে ফসলের দাম পাচ্ছে না তারা। আর মাঝখান থেকে ফড়ে দালালদের উৎপাত বেড়েছে। তারা চাষিদের কাছ থেকে অল্প দামে ফসল কিনে বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে।”

About Post Author