সময় কলকাতা ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার অন্তর্গত পাঁচথুপি গ্রামের জমিদার বাড়ির নতরফের ঘোষ মল্লিক পরিবারের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি আজও অমলিন। 1929 সালের মে মাসে একটি সভা সংগঠিত করতে পাঁচথুপিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আসেন। সভার পর পাঁচথুপির ঘোষ মল্লিক বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র । পাঁচথুপির ঘোষ মল্লিক পরিবারের তৎকালীন জমিদার সুনীল মোহন ঘোষ মল্লিকের সঙ্গে নেতাজির রাজনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ বেড়ে সখ্যতা গড়ে ওঠড়।নেতাজির লেখা একটি চিঠি আজও সযত্নে সংরক্ষিত রয়েছে ঘোষ মল্লিক পরিবারে। সুভাষ চন্দ্রের লেখা সেই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে পাঁচথুপিকে ঠিক গ্রাম বলা চলে না শহরের ছাপ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আজও পৌরসভার অধীনে না হওয়ায় আক্ষেপ অনেকটাই থেকে গিয়েছে পাঁচথুপির বাসিন্দাদের মধ্যে।
সুনীল মোহন ঘোষ মল্লিকের ছেলে সুদীপ মোহন ঘোষ মল্লিক জানান, তাদের বাড়িতে নেতাজি এসে তার পিসির কাছে লুচি এবং আলুর দম খেতে চেয়েছিলেন। লুচি, আলুরদম তৃপ্তিভরে খান। তবে নেতাজির পাঁচথুপিতে আসার কথা কোনোক্রমে ইংরেজদের কানে চলে যায়। নেতাজি সেই খবর শুনতে পেতে পাঁচথুপির ঘোষ মল্লিক বাড়ি থেকে ছদ্মবেশে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে নদীর পাড় দিয়ে পালিয়ে যান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যে ঘরে রাত্রিবাস করেছিলেন, সেই ঘর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।
পাঁচথুপির ঘোষ মল্লিক পরিবারের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্পর্কে এবং স্মৃতি আজও অমলিন। পরিবারের সদস্যদের দাবি সারা বছর তারা ইতিহাসের থেকে অনেকটা দূরেই থাকে ঠিক ১৫ ই আগস্ট, ২৩ শে জানুয়ারি কিংবা ২৬ শে জানুয়ারি তাদের বাড়িতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আগমনের কথা ভেসে ওঠে। নেতাজির স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি তুলছেন ঘোষ মল্লিক পরিবারের সদস্যরা।
More Stories
ডিগ্রি নেই, অথচ চিকিৎসা করছেন! আর জি কর আন্দোলনের মুখ আসফাকুল্লাকে নোটিস কাউন্সিলের
এবার স্বাস্থ্যদপ্তর ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিল
গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ! ২ দুষ্কৃতীর খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা