Home » দুই নেতা সাসপেন্ড হতেই সুর নরম শান্তনু ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়কের

দুই নেতা সাসপেন্ড হতেই সুর নরম শান্তনু ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়কের

সময় কলকাতা ডেস্ক :  দুই “বিদ্রোহী”নেতা সাসপেন্ড হতেই আপাতত চুপ করে থাকার নীতি নিয়েছেন দলের সাংগঠনিক ও গঠনতান্ত্রিক বিষয়ে সরব হওয়া ‘বিদ্রোহী’ বিজেপি নেতারা । মতুয়া সংঘাধিপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সাথে বৈঠক সেরে বিজেপির সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ হরিণঘাটার বিধায়ক ও মতুয়া নেতা অসীম সরকারের। বিদ্রোহের কোনও উল্লেখ করছেন না তিনি । আর নতুন দাবীও তুলছেন না। বিজেপির গুনগান ছাড়া আর বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে রা কাড়ছেন না অসীম সরকার।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গ বিজেপিতে “বিদ্রোহের” আগুন প্রশমিত করতেই সাময়িক সাসপেন্ড করা হয়েছে বেসুরো জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তেওয়ারিকে। আর এরপরেই বেশ কিছুটা যেন ঘুরে গেছেন একদা বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে সরব অসীম সরকার । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বঙ্গ বিজেপিতে “বিদ্রোহের” মুখ ও বোমা ফাটাতে চাওয়া শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে সোমবার বৈঠক সেরে বললেন,তিনি জানেনই না কে সাসপেন্ড হয়েছে।

অসীম সরকার সোমবার রাতে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন,শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনাই হয় নি তবে তাঁর ও শান্তনু ঠাকুরের একমাত্র লক্ষ্য বিজেপির হাত শক্ত করা।এখন সুর বড্ড নরম অসীম সরকারের।

 

উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগে ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুরের সাথে বৈঠক করতে এসে অসীম সরকার-ই বলেছিলেন, বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব চাই।

অসীম সরকার সোমবার সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে গভীর রাত অব্দি বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মতুয়া সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। দীর্ঘ বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বললেন, মতুয়াদের মর্যাদা রক্ষার বিষয় টি শান্তনু ঠাকুর দেখছেন। এদিন স্রেফ মতুয়া মহাসংঘের বিষয় নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে । বিজেপির গঠনতান্ত্রিক বিষয় নিয়ে কোনও রকম আলোচনা করেন নি তাঁরা। অসীম সরকার দাবী করেছেন তাঁরা মতুয়া সংগঠনের অন্তর্গত বিষয় নিয়ে চৰ্চা করেছেন । দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা সময়কালে আর কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মতুয়াদের একান্ত আলোচনা ছাড়া স্রেফ রসালাপ হয়েছে।রাজনৈতিক আলোচনা ছিল না তাঁদের বৈঠকে । দুই মতুয়া সম্প্রদায়ের সাংসদ ও বিধায়ক বৈঠককালীন রাজনৈতিক আলোচনা না করার বিষয়টি আশ্চর্য ঠেকলেও মুখে কুলুপ অসীম সরকারের।এদিন বৈঠকের দুজনের একজন শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ,অন্যজন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার মতুয়া সংঘের মুখপাত্র। এখন মুখপাত্র মুখে বলছেন, রীতেশ তেওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কিনা তাঁর জানা নেই। তিনি এও জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহ করেন নি বরং বিজেপিকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট। তাঁর দাবী -যে সব বৈঠকে তথাকথিত বিদ্রোহী ও সাসপেন্ড হওয়া নেতারা উপস্থিত ছিলেন তার কোনোটিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

মাত্র ক’দিন আগে অসীম সরকার বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে মতুয়াদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সোচ্চার হলেও এখন সে বিষয়ে হরিণঘাটার বিধায়কের আর উচ্চবাচ্য নেই।শান্তনু ঠাকুরের অবস্থান শুধুই অনুমেয়।হতে পারে তিনি বা তাঁরা মেপে এগোতে চাইছেন। তবে শান্তনু ঠাকুরও এখন আর নতুন করে বোমা ফাটানোর কথা বলছেন না। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে অপ্রিয় হয়ে রীতেশ ও জয়প্রকাশ সাময়িকভাবে সাসপেন্ড। বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাই হয়তো সাময়িক রণে ভঙ্গ দেওয়ার বার্তা পেয়ে গেছেন “বিদ্রোহী” বিজেপি নেতারা ।শান্তনু ঠাকুরের সাথে বৈঠক সেরে অসীম সরকার তাকে এখন “রসের আলাপ” বলে আখ্যা দিচ্ছেন।দুজন নেতা সাসপেন্ড হতেই বড্ড অচেনা লাগছে কয়েকদিন আগের অসীম সরকারকে।।

About Post Author