সময় কলকাতা ডেস্কঃ টিটাগর বড়ো মসজিদের কাছে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। সেখানে একটি পার্ক উদ্বোধন করেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালানো হয় কিন্তু তার নিরাপত্তারক্ষী থাকার কারণে দুষ্কৃতীরা রাজ চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়। দুষ্কৃতীরা তার নিরাপত্তারক্ষী ওপর হামলা চালায়।
তৎক্ষণাৎ তৃণমূল কর্মীরা চলে আসায় প্রাণে বাঁচেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এরপরই এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মানস কুমার ভার্মা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারে জয়েন্ট শিপি অজয় ঠাকুর, খরদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। এরপরেই সেখানে উপস্থিত হয় বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
এপ্রসঙ্গে মদন মিত্র জানান, “টিটাগর এমন একটা সেনসিটিভ এরিয়া যেখানে পার্ক সুন্দর করে তৈরি করা হচ্ছিল সেখানে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে হেসে খেলে থাকতো, এই সুন্দর পরিবেশ তৈরী হতে যাচ্ছিল সেই জায়গায় আঘাত করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস এবং এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই টিটাগড়ে হিন্দু মুসলমান একে অপরকে ভালোবাসে, এখানে ঝগড়া বাধানোর নোংরামি করে লাভ নেই এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এর পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে।”
এ বিষয়ে রাজ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা টিটাগড়কে সুন্দর করার কথা বলছি, সুস্থ পরিবেশ তৈরি করার কথা বলছি, ক্রিমিনালরা চাইবে না আমরা সুষ্ঠু ভাবে সব কিছু করি। হঠাৎ করে আমাদের উপর অ্যাটাক করে আমার সিকিউরিটিকে মারে। এই দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবেই। আমি এই নোংরামি বন্ধ করেই ছাড়বো। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।”
More Stories
প্রসঙ্গ বাংলাদেশ : সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় মতুয়ারা
জাঁকিয়ে শীত আসবে, গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম
সন্দেশখালিতে তরুণী খুনের তদন্ত খতিয়ে দেখতে উপস্থিত মহিলা কমিশন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ