সময় কলকাতা ডেস্কঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মাধাইপুর খোলামুখ খনিতে বুধবার দূর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়।কয়লার চাঙ্গোর চাপা পড়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের চারজনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজন। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর বিশাল বাহিনী। সেই বাহিনীর সঙ্গে ছিল কমব্যাট ফোর্সও। ঘটনাস্থলে পৌঁছান দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিডিও দেবজিৎ দত্ত এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা।
করোনা অতিমারিতে কর্মচ্যুত বহ মানুষ।আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পর পরিবার।একদিকে কারখানায় কাজের আকাল, সেই সঙ্গে করোনা অতিমারির মারে নাজেহাল অন্যান্য এলাকার মতই এই দূর্গাপুর এলাকা।এখানকার ফরিদপুর ব্লকের মাধাইপুর খোলামুখ খনিতে মাঝেসাজে এলাকার মানুষ কয়লা তুলতে নামেন।তেমনই বুধবার সকালে একই পরিবারের কয়েকজন সদস্য খোলামুখ খনিতে কয়লা তুলতে নামেন।পরিবারের নিকট আত্মীয়রা জানান, পেটের দায়ে কয়লা তুলতে সপরিবারে খনিতে নেমেছিল তাঁরা। বেশ কিছু কয়লা কাটার পরই হঠাৎ কয়লার একটা বড়সড় চাঙ্গর ভেঙ্গে পরে।আর সেই ভাঙ্গা চাঙ্গরের আঘাত ও চাপা পড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা কাজল ঘোষ জানান, রুটিরুজির টানেই এই দিন ভোরে কয়লা খনিতে নেমে ছিলেন কয়েক জন মানুষ। আর তার মধ্যে চাঙ্গর ভেঙ্গে দূর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা।পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত চলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।তার পরই একে একে চারটি মৃত দেহ উদ্ধার হয়।এই চারজনের নাম হল, আনাহরি বাউড়ি (৫০ ),শ্যামল বাউরি (২৩ ),নটবর বাউরি ( ২৫ ) ও পিংকি বাউরি।
কি করে হঠাৎ এই চাঙ্গর ভেঙ্গে পড়া ও দূর্ঘটনার প্রকৃত কারন কি তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।রাজ্যে প্রায়শই খোলামুখ খনিতে দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে।মারাও যাচ্ছে মানুষ।তা কি ভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন।এরই মাঝে সমস্ত রকম ভাবেই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
More Stories
ডিগ্রি নেই, অথচ চিকিৎসা করছেন! আর জি কর আন্দোলনের মুখ আসফাকুল্লাকে নোটিস কাউন্সিলের
এবার স্বাস্থ্যদপ্তর ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিল
গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ! ২ দুষ্কৃতীর খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা