Home » স্কুল খোলার দাবিতে পথে শিক্ষক থেকে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

স্কুল খোলার দাবিতে পথে শিক্ষক থেকে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

সময় কলকাতা ডেস্ক : করোনার বিধি নিষেধ বহুলাংশে শিথিল হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় কেন ? গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও।একই দাবিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন ইচ্ছাপুরের এক শিক্ষক। তাঁর মতোই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছ বামেদের ছাত্রসংগঠন এসএফআই।পাশাপাশি স্কুল খোলা দাবি নিয়ে আরও দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোটে।এদিকে স্কুল খোলার দাবিতে শিক্ষকরা এদিনও  রাস্তায় নামেন। বসিরহাট ১ ব্লকের শিক্ষকরা হাতে ও গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ইছামতির পাড়ে বিক্ষোভে সামিল হন।আন্দোলনকারীদের দাবি, রাজ্যে সমস্ত রকম দপ্তর খুলে দিয়েছে সরকার । অথচ স্কুল খোলা নিয়ে কোনরকম পদক্ষেপ করছে না সরকার।ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।শিক্ষক বকুল রায় বলেন, “২২ মাস করোনার অজুহাতে রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে ।

অন্যদিকে স্কুল খোলার দাবিকে সামনে রেখে করুনাময়ীতে বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপির ছাত্র সংগঠন। পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপির সদস্যরা।আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, করোনার দাপট কমায় রাজ্যে বিয়েবাড়ি ও মেলায় জমায়েতের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। তা সত্বেও কোন যুক্তিতে সরকার স্কুল খোলার অনুমতি দিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আন্দোলনকারীরা।

আদালত সূত্রে খবর ইচ্ছাপুরের শিক্ষক তাঁর আবেদনে বলেছেন, দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধের কারণে, স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে।স্কুল খুলে সরকার তাদের ক্লাসে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সব মামলাগুলি একত্রিত করে শুক্রবার সকালে শুনানি শুরু হবে।প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত স্কুল খোলার আভাস দিয়েছেন।

 

About Post Author