Home » রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সংকট কেন ঘোরালো হয়ে উঠেছে?

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সংকট কেন ঘোরালো হয়ে উঠেছে?

সময় কলকাতা ডেস্ক :

রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত সংকট ক্রমশই গভীরতর হচ্ছে।এক ডজনের বেশি নৌ যুদ্ধ জাহাজ বাল্টিক সমুদ্র এলাকায় টহল দেওয়ায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। স্বভাবতই রাশিয়া-ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে।

ইতিপূর্বেই আশঙ্কা ছিল ,রাশিয়া ক্রমশ তাদের বাহিনী নিয়ে ইউক্রেনের দিকে এগোবে। বাল্টিক সাগরে নৌ মহড়া যুদ্ধের ইঙ্গিতকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

অন্যদিকে,ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকার সাড়ে আট হাজার মার্কিন সৈন্যকে প্রস্তুত অবস্থায় রাখার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকফ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্তেজনায় ইন্ধন যোগানোর অভিযোগ করে বলেছেন,রাশিয়ায় মার্কিন পদক্ষেপের বিষয় উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত চলমান কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না, বলেই তিনি আশাবাদী। পেশকফ মুখে যাই বলুন না কেন,আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে প্রভাব আনতে বাধ্য।

ইতিপূর্বেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সদস্য দেশসমূহকে প্রয়োজনে সহায়তা করতে আমেরিকা সাড়ে আট হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত রেখেছে জানিয়ে আমেরিকা ঘোষণা করেছিল । সূত্রের খবর আমেরিকা ৯০ টন ওজনের প্রাণঘাতী অস্ত্রও ইউক্রেনে পাঠিয়েছে।সবমিলিয়ে তৃতীয় এক শক্তি প্রস্তুত থাকায় ঘোরালো হয়ে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সংকট।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মত, মার্কিন সৈন্য যদিও ইউক্রেনে মোতায়েন করা হবে না, কিন্তু পেন্টাগনের ভাষায় “সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে” এই সৈন্যদের যে ন্যাটো জোটভুক্ত অন্য দেশে মোতায়েন করা হতে পারে, এজন্য উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে রাশিয়া।

কেন ন্যাটো ইউনক্রেনের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তার কারণও সুস্পষ্ট।জোট পক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে ক্রমশ সৈন্যর বিস্তার করছে তাই তার প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সৈন্য দলও তৈরি রাখছে তারা। ফলে, ক্রমশ যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশংকা বাড়ছে।

আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে কোন সময়ে দখলের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনে প্রবেশ করবে, তবে রাশিয়া একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ’ চায় না। তথাপি সাগর ও সীমান্তে নৌ মহড়া ও পাল্টা সৈন্য প্রস্তুতি সার্বিক বহুদেশীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা প্রগাঢ় করেছে।।

মানচিত্র গ্রাফিক্স সৌজন্য : বিবিসি নিউজ

About Post Author