সময় কলকাতাঃ সময় কলকাতা খবরের জের। শিকল-বাঁধা যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেল বিধায়ক। কুল্পির জামতলায় যুবকরের শিকল বাঁধার খবর প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। কুল্পির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদেরকে সঙ্গে নিয়ে জামতলায় মানসিক ভারসাম্যহীন শিকল দিয়ে বাঁধা যুবক কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের বাড়িতে যান। কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের সাথে কথা বলেন বিধায়ক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি টানা ১ বছর পর শিকলের বাঁধন থেকে মুক্ত হলো কৃষ্ণেন্দু দোলুই।
এবার সরকারি সাহায্যে চলবে চিকিৎসা জানালেন বিধায়ক । মঙ্গলবার স্থানীয় জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে কৃষ্ণেন্দুকে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে কুল্পির বিডিও বলেন, কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের চিকিৎসার জন্য বিধায়ক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে কৃষ্ণেন্দু দোলুই সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তার জন্য তাকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
এর আগে সময় কলকাতা প্রচার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুল্পি ব্লকের বড়জামতলার মানসিক ভারসাম্যহীন কৃষ্ণেন্দু দোলুইয়ের এই মর্মান্তিক খবর। ছেলের চিকিৎসা করাতে সর্বস্বান্ত পরিবার।তাতেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি তার বাবা মা।কার্যত নিরুপায় হয়ে ছেলেকে প্রায় ১ বছর ধরে হাতে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন বড়জামতলার ওই দিনমজুর পরিবার। তবে ছোটবেলা থেকেই এমনটা ছিলেন না বছর ২৬ বয়সের ওই যুবক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের সরস্বতী পুজোর রাতে হঠাৎই ঘুমন্ত অবস্থায় চিৎকার শুরু করে। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারায়।তারপর দিনমজুর পরিবারটি তাঁদের ছেলের চিকিৎসার জন্য বহু চেষ্টা করেন। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমি দোকান বেচে দিতে হয় পরিবারটিকে।
More Stories
সমাজ মাধ্যমে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট। যার জেরে খেতে হল গণপিটুনি বারাসাতের এক মাংস বিক্রেতাকে
‘যোগ্য’ শিক্ষকদের সঙ্গে একই মঞ্চে শিক্ষাকর্মীরাও
যান্ত্রিক বিভ্রাট, বন্ধ রইল মেট্রো চলাচল নোয়াপাড়া থেকে দমদমের মাঝে