সময় কলকাতা ডেস্ক : আমেরিকা জোর আঘাত হানল সন্ত্রাসবাদের ওপরে ।গণহত্যার পরিকল্পনাকারী ও নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত আইসিস বা আই এস আই এস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শিকে মুছে দেওয়ার সাফল্য ঘোষণা করলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে আইসিস (আই এস আই এস ) প্রধান (খলিফা) আল-হাশিমি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আমেরিকান একটি সামরিক অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মতে, আল-হাশিমি তার পরিবারের সাথে নিজেকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাইডেন আইএসআইএস নেতার মৃত্যুকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন যে সিরিয়ায় আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শিকে লক্ষ্য করে অভিযান প্রমাণ করে যে আমেরিকান বাহিনী বিশ্বের যেকোন জায়গায় সন্ত্রাসী হুমকিকে “মোচন” করতে পারে।
বাইডেন বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ বাহিনীর অভিযানের বর্ণনা দিয়েছেন।মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযানের পরিকল্পনা কয়েক মাস আগে শুরু হয়েছিল।অভিযানটি হয় জলপাই গাছে ঘেরা একটি তিনতলা ভবনকে লক্ষ্য করে।ইসলামিক স্টেটের নেতা অভিযানের সময় নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে।একটি ভিডিও ফুটেজে মার্কিন হামলার পরের ঘটনা দেখানো হয়েছে যেখানে ইসলামিক স্টেটের নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি নিহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৃহস্পতিবার আরও বলেছেন যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাক-ভোরের আক্রমণে মার্কিন বিশেষ অপারেশন কমান্ডোদের অভিযানের সময় ইসলামিক স্টেটের নেতা মারা গেছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, অভিযানে নিহত অন্তত ১৩ জনের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি (অক্টোবর ১৯৭৬ – ফেব্রুয়ারী ৩,২০২২) ছিলেন ইসলামিক স্টেটের আইসিস বা আই এস আই এসের দ্বিতীয় খলিফা।সিরিয়ার বারিশাতে মিত্রবাহিনীর আক্রমণে আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহ পরে ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ তার নাম জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
আমির মোহাম্মদ আবদুল রহমান আল-মাওলি আল-সালবি ইরাকের তেল আফার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একটি ইরাকি তুর্কমেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্নাতক হওয়ার পরে,তিনি ইরাকে একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের শাসনের অবসানের পর, তিনি আল-কায়েদায় যোগদান করেন । ২০০৪ সালে, তিনি দক্ষিণ ইরাকের ক্যাম্প বুকা কারাগারে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক হন যেখানে তিনি আবু বকর আল-বাগদাদির সাথে দেখা করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সম্ভবত আল-কায়েদায় পুনরায় যোগদান করেন।
তিনি ছিলেন ২০১৪ সালের আগস্টে সিনজার গণহত্যার সময় ইয়াজিদিদের গণহত্যার পরিকল্পনাকারী প্রধান নেতাদের একজন। ততক্ষণে তিনি আবু বকর আল-বাগদাদির সহকারীতে উঠে এসেছেন।আইসিস সূত্রে দাবী করা হত,আল-হাশিমি একজন ধর্মীয়ভাবে শিক্ষিত এবং যুদ্ধে পারদৰ্শী অভিজ্ঞ কমান্ডার। আল-হাসিমি পশ্চিমা দেশগুলির সমর নীতি সম্পর্কে সবিশেষ ওয়াকিবহাল ও তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজন অভিজ্ঞ ছিলেন। তাকে “পণ্ডিত, কর্মী, উপাসক”, “জিহাদে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব” এবং “যুদ্ধের আমির” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। ‘আমির’ কুরায়শির অধ্যায়ের অবসান ঘটল, যা কিনা আইসিসের কাছে এক জোর ধাক্কা।
More Stories
চলমান ঐতিহ্য কলকাতার ট্রাম। ফিফা বিশ্বকাপে কানাডার ভ্যানকুভার সিটিতে চলবে কলকাতার দুটি ট্রাম!
ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ! আহত ৬ জওয়ান*
বিপদে পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে, বেকায়দায় পড়ে ভারত বিদ্বেষ ভুলে ভারত থেকে চাল নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে