সময় কলকাতা ডেস্কঃ দেশের নেটিভ সিটিজেন তারা। এত দিন তারা সহজ সরল জীবন যাত্রায় জীবনের আনন্দ খুঁজেছেন ।শহুরে সভ্যতার সঙ্গে কোন দিন তেমন সখ্যতা গড়ে ওঠেনি তাদের।তবু পৃথিবীর গতির অমোঘ হাতছানির কাছে বরাবর প্রায় সব সভ্যতাকে হারতে হয়েছে। তার থেকে আলাদা থাকতে পারেনি এদেশের আদিবাসীরা।তাদের উন্নয়নের জন্য হাজার প্রকল্প কেন্দ্রের ও রাজ্যের। নিকানো উঠান আর মাটির দেওয়ালের বদল ইতিউতি আদিবাসী পাড়ায় পাকা বাড়ি, আলো ঝলমল রাস্তা,পাকা ড্রেন দেখা যায়।সরকারের চেস্টা আদিবাসীদের সামগ্রিক উন্নয়নের। কিন্তুু আদিবাসী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখাতে তেমন উদ্যোগ কম বলে মত এই সমাজের একাংশের।তাই নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বাঁচাতে এগিয়ে এলেন তারাই।আদিবাসীদের সংস্কৃতির সিম্বল শুধু ধামসা মাদলই নয় তার জানান দিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের নকশা গ্রামে হল এক অভিনব অনুষ্ঠান।
ধামসা – মাদলের ছন্দেই আদিবাসীদের নৃত্য শুধু নয়।এবার তারা হাজির করল এক হারিয়ে যায় বাদ্য যন্ত্র।
শুধু ধামসা- মাদল নয় এছাড়াও বাঁশের তৈরি ” মোংগাহুদুর” বাদ্যযন্ত্রের তালেও যে তাদের দুলে উঠতে দেখতে পাওয়া যায়৷ সেটা এই দিনের অনুষ্ঠানে দেখা গেল। আর এই ছবি দেখতে পাওয়া গেল দক্ষিন দিনাজপুর জেলায়। এই জেলার বালুরঘাট ব্লকের নকশা গ্রামে এমনই অদ্ভুত দর্শন আদিবাসী যন্ত্রটির দেখা মিলল। সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি এই যন্ত্রটি বাজিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ পুষনা উৎসব ও সোহরায় উৎসবে মাতেন।সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি যন্ত্রটি বাজিয়ে আদিবাসী মানুষরা, তাদের খুশি প্রকাশ করে আসছেন বহু বছর ধরে ।
বর্তমানে এই সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্ম তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অধুনিক সময়ের বাদ্য যন্ত্র গিটার, অক্টোপ্যাড, কিবোর্ড ব্যবহার শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ধামসা মাদল কিংম্বা ” মোংগাহুদুর” এর মত বাদ্যযন্ত্র গুলি বাদ্য যন্ত্রগুলির ব্যবহার নিজেদের অনুষ্ঠানে কমিয়ে দিয়েছে।এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আদিবাসী সংস্কৃতিও। তাই এই যন্ত্র গুলিকে আদিবাসী ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্য বললেও ভুল হবে না। আর এই সমস্ত প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে রাজ্যবাসীকেই। সেই কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হেরিটেজ সোসাইটিও এই সমস্ত বাদ্যযন্ত্র গুলি সংরক্ষিত হয় সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বলে জানালেন সংস্থার সম্পাদক তুহিন শুভ্র মন্ডল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন সংখ্যায় বড় অংশ হল জ আদিবাসী মানুষ। সেই কারণেই এই জেলা তথা বাংলার ঐতিহ্য মন্ডিত বাদ্যযন্ত্র গুলি যাতে সংরক্ষিত হয় সে ব্যাপারে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক তুহিন শুভ্র মন্ডল জানান।একই সঙ্গে আদিবাসীদের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাদের সাংস্কৃতিতে ব্যবহৃত প্রতিটি বাদ্য যন্ত্রকে আরো বেশী করে ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
More Stories
বাঙালি পর্যটকদের জন্য : গরমে কাছেই ঝান্ডি ঘুরে আসুন, স্বস্তি মিলবে
হাতে ভর দিয়ে হাঁটেন তবুও পঞ্চাশ কিলোমিটার উজিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির
গোদের উপর বিষফোঁড়া! গন্ডার তাড়াতে হাতি! ক্ষতি রুখতে গিয়ে দ্বিগুণ ক্ষতি! ভুট্টাক্ষেত সাবাড়!