Home » স্যোশাল মিডিয়ার পর এবার মধ্যমগ্রামের তানি ও মুনি মুম্বাই জয়ের দৌড়ে

স্যোশাল মিডিয়ার পর এবার মধ্যমগ্রামের তানি ও মুনি মুম্বাই জয়ের দৌড়ে

রাজর্ষি রায়, সময় কলকাতাঃ বাবা ব্যাঙ্গালুরু তে। কর্মসুত্রে সেখানেই তাঁকে থাকতে হয়।বাড়িতে দুই জমজ কন্যা আর স্ত্রী।মধ্যগ্রামের যশোর রোডের ধারে দু কামরার ঘরের দিকে মন পড় থাকে সারাক্ষণ দেবাশিষ দত্তের।ছোট বেলায় শেখা গানের কলি মোবাইলে রেকর্ড করে পাঠান স্ত্রী কে। কিছুটা প্রেম আর কিছুটা গান গাওয়া ভালো লাগা গোছের তাগিদ ছিল তাতে, দাবি দেবাশিস দত্তর।তাঁর গাওয়া হালকা মেজাজের গানের কলিই পথ খুলে দেয় তাঁর দুই জমজ কন্যার । দেবাশিস দত্তর কথায় তাঁর স্ত্রী সেই গান শুনছিলেন। আর পাশে খেলতে থাকা বছর তিনের জমজ কন্যারাও বাবার গলা শুনে থমকে দাঁড়ায়। তারপর সেই গান দ্রুত রপ্ত করে ফেলে তারা।বাবার গাওয়া গান দুই কন্যার হুবুহু গেয়ে তাক লাগিয়ে দেয় মাকে।সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্গালরুতে পৌছায় সেই কথা।সেখানে কাজ সেরে ফিরেই জমজ কন্যার এই শ্রবন ক্ষমতা আর গান গাওয়ার গলাকে কি করে আরো সুন্দর করে তোলা যায় সেই কাজে মন দেন তিনি।সালটা ছিল ২০১৭। সেই ট্যুইনসকে স্যোশাল মিডিয়া চেনে তানি মুনি নামে। দুই বোনের আসল নাম সৃষ্টি দত্ত ও শ্রেয়া দত্ত।তবে আবাসন থেকে গলি, রাজপথ সকলেই আজ তাঁদের চেনে তানি ও মুনি হিসাবে।এটা এখন তাদের ভালো নামও আর ডাক নামও।

মেয়েদের গলায় সরস্বতীর উপস্থিতিকে মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করেন দেবাশিস বাবু। সেই সঙ্গে ইউটিউবে একটি চ্যানেল বানিয়ে দুই বোনের গান আপলোড করতে থাকেন।কিশোর থেকে আরতী কিংবা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান তানি ও মুনি গাইতে থাকে।আর তা রেকর্ড করে বাবা আপলোড করতে থাকেন।আর তাতেই মুগ্ধ হয় নেট দুনিয়ার সাঙ্গীতিক জগতের মানুষেরা। আধো আধো কন্ঠে “প্যায়ার মাঙ্গা হ্যায় তুমহি সে” শুনে তো পরিচিত ও অপরিচিত সকলে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়ে তানি ও মুনির ওয়াল।

নিজের অধরা স্বপ্নকে সফল করতে দুই জমজ কন্যাকে স্কুলের পাশাপাশি গান শেখাতেও শুরু করেন তিনি।ইতিমধ্যেই স্যোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় তানি ও মুনির প্রতি নজর পড়ে দেশের প্রথম শ্রেণীর মিডিয়ার। প্রচারের রঙ্গীন আলো তানি ও মুনির কাছে শুধুই আলো মাত্র।আর সেই পথে এগিয়ে চলেছে তারা।

বর্তমানে মুম্বাইয়ে পাড়ি দিয়েছে তানি ও মুনি।সেখানে সোনি চ্যানেলের সুপার স্টার সিঙ্গারের অডিশন দিচ্ছে তারা।কন্যার এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবাশিস দত্ত জানান এখানে মেয়েরা জয়ী হলে বাংলার আরো দুই কন্যা সারা ভারতে রাজ্যের নাম কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

About Post Author