Home » শরীর ভালো রাখতে চুমু খান প্রাণভরে

শরীর ভালো রাখতে চুমু খান প্রাণভরে

সময় কলকাতা ডেস্ক : ২০১৪ সালের শীতের সন্ধ্যে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ তরুণী কলকাতার বুকে জোড়ায় জোড়ায় ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে, জাপটে ধরে চুম্বনের উৎসব করেছিলেন কোচির এক ঘটনার প্রতিবাদে। তাঁদের স্লোগান ছিল চুমু চুমু চুমু চাই, চুমু খেয়ে বাঁচতে চাই। সেদিনের চুমু আন্দোলন বা লাভ কিস ছিল চুমুকে বাধাদানের বিপক্ষে। আন্দোলনে সামিল তরুণ তরুণীরা বলেছিলেন, ‘আমার শরীর আমার মন, দূরে হটো রাজশাসন’। তাঁদের ‘হোক চুম্বন’ আন্দোলনের তাৎপর্য যাই থাকুক,পরবর্তীতে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণিত চুম্বনের মত স্বাস্থ্যসম্মত বিষয় আর দুটি নেই। চুমু খাওয়া স্বাস্থ্য ও মনের জন্য অসম্ভব উপকারী।

শুরু হয়ে গেছে ভালোবাসার সপ্তাহ -যেখানে একেকটি দিন একেকটি প্রেম উদযাপনের আঙ্গিক নিয়ে আসছে। ভ্যালেন্টাইনস ডের ঠিক আগের দিন কিস ডে বা চুম্বন দিবস।ঠিক তার পাঁচদিন আগে প্রকাশিত হল এই প্রতিবেদন।

জানা দরকার, চুমু ব্রেন বা মস্তিষ্ককে মিশ্র রাসায়নিকের   নিঃসরণ করায় । চুমু সেই রসায়ন যা কিনা ব্রেন বা মস্তিষ্কের আনন্দ-কেন্দ্রগুলিকে প্রজ্বলিত করায় আসে সুখকর অনুভূতি । যে রাসায়নিকগুলি চুমুর সময় ক্ষরিত হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অক্সিটোসিন, ডোপামিন এবং সেরোটোনিন, যা মানুষকে আনন্দিত করে তুলতে পারে, পাশাপাশি স্নেহ ও বন্ধনের অনুভূতিকে উৎসাহিত করে।

অক্সিটোসিন কে বলা হয় লাভ হরমোন। বিজ্ঞান বলে, চুমু খাওয়া মাত্রই নিঃসরণ হবে অক্সিটোসিন ফলে একে অন্যের প্রতি বন্ডিং বা সম্পর্কের দৃঢ়তা বেড়ে যাবে এক লহমায়। পাশাপাশি এও সত্যি ফ্রেঞ্চ কিস, এস্কিমো কিস সহ বিভিন্ন ধরণের চুম্বন পদ্ধতি রয়েছে ফলে -কোথায়, কখন,কীভাবে এবং কাকে চুমু খাচ্ছেন তার ওপরে নির্ভর করে চুমু খাওয়ার উপকারিতা। আপনি যদি চুমু খান আপনার ভালোবাসার বিশেষ মানুষটিকে  তাহলে তো আর কথাই নেই।

চুমু কি কি কারণে উপকারী? সমীক্ষা কি বলছে? দেখা গেছে চুমু আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, মানসিক চাপ লাঘব করে, রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় পেশির টান কমায়, এমনকি মাথাব্যথা কমায়, অ্যালার্জি উপশম করে । রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা বাড়াতেও চুমুর জবাব নেই।রইল বাকি কী যা স্বাস্থ্যকর নয়?

 

তবে এদেশে মূলত প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ। আর এরকম ক্ষেত্রে পরস্পরকে চুমু খাওয়া যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয়।চুমুতে টেষ্টোস্টেরন নিঃসরণ হয়।এক্ষেত্রে দেখা গেছে -চুমু নারীদের বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করে যৌন সঙ্গী বেছে নিতে।যত তীব্র হয় চুমুর আবেগ তত ক্ষরণ হবে টেষ্টোস্টেরন। যৌনতাকে ও যৌন জীবনকে  উষ্ণতা দিতে তাই চুমু খান প্রাণভরে।শুধু আবেগের সঙ্গী হয় যেন অনুমতি আর সম্মান।।

About Post Author