সময় কলকাতা ডেস্ক : বাঙ্গালীর অতি প্রাচীন ও সুস্বাদু একটি রান্না গোবিন্দভোগ চালের মুড়িঘন্ট। রুই বা কাতলা মাছের মাথার সাথে গোবিন্দভোগ চাল মিশিয়ে ও নানা রকম সুগন্ধি মশলাপাতি সহযোগে এই রান্না করা হয়। ছুটির দিন দুপুরে ভাতের সঙ্গে খান অতি সুস্বাদু এই পদটি।
উপকরণ
• ২ টি বড় রুই মাছের মাথা টুকরো করে কাটা
• ১৫০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল
• ৩ টে বড় পেঁয়াজ মিহি করে কুচানো
• ২ টো টমেটো মিহি করে কুচানো
• ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
• ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা
• ২ চা চামচ জিরের গুঁড়ো
• ১ চা চামচ ধনের গুড়ো
• ১ চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
• ১ চা চামচ ঝাল লঙ্কার গুঁড়ো
• ১ টেবিল চামচ ঘি
• ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
• ২ টো তেজপাতা
• ২ টো গোটা এলাচ
• ১ টুকরো দারচিনি
• ৩ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
• ১ চা চামচ চিনি
• ২ টো মাঝারি আকারের আলু টুকরো করে কাটা
• স্বাদমতো লবণ
• পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো
পদ্ধতিঃ
প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে মাছের মাথাগুলোকে ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে।এবার ওই তেলের মধ্যে আলুর টুকরোগুলোকে ভেজে তুলে রাখুন।
এরপর গোবিন্দভোগ চালগুলিও ওই তেলের মধ্যে হালকা করে ভেজে নিয়ে তুলে নিন। একটি ননস্টিক প্যানে ১টেবিল চামচ সরষের তেল ভালো করে গরম করে নিন। তেল গরম হওয়ার পর ওই তেলের মধ্যে এক এক করে তেজপাতা, গোটা এলাচ ও দারচিনি ফোড়ন দিতে হবে। সুগন্ধ বের হলে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি টমেটো কুচি দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে।
ওই তেলের মধ্যে এক এক করে আদা বাটা,লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, জিরের গুঁড়ো, লবণ ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে সব মশলা কষতে হবে। ভালো করে সব মশলাকে কষানোর পরে ওর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা আলুর টুকরোগুলো ও চাল দিয়ে দিন। আলু ও চালের সাথে ভালো করে সব মসলা মিশিয়ে নিতে হবে।
দেড় কাপ মতো জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। দু মিনিট পর চাল সেদ্ধ হয়ে আসার পরে ওর মধ্যে এক চামচ চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর ভাজা মাছের মাথাগুলিকে ওই মশলার মধ্যে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
আরো ২ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে। দু মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে ঘি ও গরম মসলা ছড়িয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে নামিয়ে ফেলুন।হয়ে গেল গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে মাছের মুড়িঘন্ট। এখন গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন অতি সুস্বাদু এই পদ।
More Stories
ঝোল – পাতুরি তো অনেক হল, স্বাদ বদলাতে নৈশভোজে বানিয়ে ফেলুন আম কাসুন্দি চিকেন
ছুটির দিনে নৈশভোজে পরোটা বা নানের সঙ্গে জমিয়ে খান মাদুরাই মটন
একঘেয়ে মটন কষা বা ঝোল নয়, নৈশভোজে বানিয়ে ফেলুন লোভনীয় মটন লাবাবদার