সময় কলকাতা ডেস্ক :
শক,হুন, মোগল, পাঠান ভারতের সংস্কৃতিতে লীন হয়েছে কবেই।মহামিলনের ক্ষেত্র ভারতে আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে মহামতি আকবর সর্বধর্মের মানুষদের নিয়ে ‘দীন-ই-ইলাহী’ মতাদর্শের প্রবর্তন করেছিলেন। ফতেপুর সিক্রিতে ছিল উপাসনাঘর।দু হাজার বাইশ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ হয়ে উঠল ফতেপুর সিক্রির ক্ষুদ্র সংস্করণ।ধর্মগুরুদের উপস্থিতিতে সব ধর্ম মিশে গেল হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগরে। ভেদাভেদহীন এক বৃহত্তর মানব সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বার্তা মৈত্রীর, বার্তা সম্প্রীতির, বার্তা একতার।
সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য ভারতের যা যুগ যুগ ধরে বয়ে চলেছে এদেশ। তবুও আজও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে আর তা থেকে উত্তরণের পথ দেখায় এই দেশ। ঠিক তেমন করেই দিকে দিকে যখন বিদ্বেষের বিষ আবার ছড়াতে শুরু করেছে তখনই ভেদাভেদের বিষবাষ্পকে নাশ করার মিলনমেলা হয়ে উঠল হিঙ্গলগঞ্জ। যখন কর্নাটকে স্কুলের ঘটনা যখন দক্ষিণ ভারতে চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে, যখন একের পর এক নাশকতার ঘটনা সামনে আসছে তখন ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, আমেরিকা, নেপাল, বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশের একাধিক ধর্মীয় মতাদর্শের ধর্মগুরু এসে মিশলেন মহামানবের মিলনযজ্ঞে।সনাতন হিন্দু, মুসলিমবা খ্রিস্টান – সকল ধর্মের উর্দ্ধে উঠে সম্প্রীতির গান গেয়ে তাঁরা প্রচার করলেন মানবতার বাণী ।
ভারতবর্ষ যে সর্ব ধর্মের মিলনক্ষেত্র এবং এর শেকড় অনেক গভীরে। ভারতের সুমহান ঐতিহ্য প্রকাশের আরও একবার লগ্নে ধর্মগুরুদের স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মন্ডল হেঁটে গেলেন দীর্ঘপথ।এই পাড়ি মানব সমাজের উত্তরণের দিকে। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তাঁরা বোঝালেন সবার ওপরে মানব, একমাত্র মানব-ই সত্য।।
More Stories
বিজেপি সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চাপানউতোর , দিল্লি গেলেন শুভেন্দু অধিকারী , সুকান্তর বাড়িতে বৈঠকে শুভেন্দু
দুর্নীতি থেকে সরাসরি সুবিধে পেয়েছেন যাঁরা, এ বার তাঁরাও তদন্তে আতস কাচের নিচে
নদীর জলে ক্যান্সারের বীজ!: আইসিএমআর